আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বর্তমানে জেলায় শুধুমাত্র মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটেই করোনার চিকিৎসা মিলছে। সেখানে অধিকাংশ সময় বেড পাওয়া যাচ্ছে না বলে করোনা রোগীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলছিলেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলির অবস্থাও তথৈবচ। ফলে বহু করোনা রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থাতেও বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। বিত্তশালীরা অবশ্য করোনা রোগীকে ভিন জেলা অথবা কলকাতা বা শিলিগুড়ি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। তবে গরিব মানুষের অবস্থা করুণ। ফলে বারবার জেলায় করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো বৃদ্ধির দাবি উঠছিল। বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় এদিকে বিশেষ নজর দিতে পারেনি। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতেই জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর কোমর বেঁধে করোনা মোকাবিলায় নেমেছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, চাঁচল মহকুমার ব্লকগুলির বাসিন্দারা করোনা চিকিৎসার সুযোগ সাত দিনের মধ্যে পেতে চলেছেন। চাঁচল মহকুমা হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে। ১০ দিনের মধ্যে বাকি তিন জায়গায় করোনা চিকিৎসা শুরু হয়ে যাবে। বুলবুলচণ্ডী কোভিড হাসপাতালে হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল এবং পুরাতন মালদহ ব্লকের একটা অংশের বাসিন্দারা চিকিৎসা করাতে পারবেন। কালিয়াচকের তিনটি ব্লকের বাসিন্দারা সুজাপুরে করোনা চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। মানিকচক, ইংলিশবাজার এবং মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারা মিল্কি কোভিড হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তি করাতে পারবেন। রতুয়ার একটা অংশের বাসিন্দারাও মিল্কিতে যেতে পারবেন। সর্বোপরি মালদহ মেডিক্যালের কোভিড হাসপাতাল তো রয়েইছে। ফলে গোটা জেলা আমরা এভাবে ‘কভার’ করতে পারব। নিরবিচ্ছন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করোনা চিকিৎসার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রতিটি জায়গাতেই সেই সুবিধা পাওয়া যাবে। ফলে জেলায় অক্সিজেনের অভাবে কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হবে না বলেই আমরা মনে করছি।