আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, শহরের অধিকাংশ নর্দমা বেহাল হয়ে আছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই নালা ভরে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে দুর্ভোগ। শহরে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়লেও কোনওরকম জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে না। শহরের আলিগলি থেকে প্রধান রাস্তায় আবর্জনা দিনের পর দিন পড়ে থাকলেও তা তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাফাই কর্মীদের দেখা নেই। বৃষ্টিতে আবর্জনা ধুয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে।
স্বপন সরকার নামে এক পুরবাসী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুর পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে। ইনকাম সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের শংসাপত্র নিতে গেলে আমাদের হয়রানি হতে হচ্ছে। এলাকায় কাউন্সিলার নেই, কোথায় আমরা সমস্যার কথা বলব বুঝতে পারছি না। একেতে কোভিড পরিস্থিতি, তারউপর রাস্তাঘাটে জঞ্জাল জমে থাকায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
বালুরঘাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজেন শীল বলেন, পুর পরিষেবা নিয়ে মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসক বোর্ডের এই বিষয়টি দেখা উচিত। কেন তারা সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারছে না তা জানি না।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন আরএসপির সুচেতা বিশ্বাস বলেন, শহরজুড়ে রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। নর্দমা সংস্কার ও পরিষ্কার হচ্ছে না। এছাড়াও পানীয় জল সহ নানান অভিযোগ তো আছেই। দীর্ঘদিন ধরে পুরভোট না হওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে। যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা সামলাতে পারছে না।
বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হরিপদ সাহা বলেন, ভোটের কারণে পুরসভার অনেক কাজই বন্ধ হয়েছিল। তবে এখন ওসব কাজ পর্যায়ক্রমে চালু হচ্ছে। এছাড়াও কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে শহরের জঞ্জাল, নর্দমা সহ অন্যান্য পরিষেবা ঠিকমতো দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে ঠিকই তবে কোনও কাজই যাতে থমকে না থাকে তারজন্য নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির জেরে বালুঘাট শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের অধিকাংশ গাড়ি বন্ধ রয়েছে। যার ফলে রাস্তা থেকে নিয়মিত জঞ্জাল সংগ্রহ করা হচ্ছে না। শহরের বহু এলাকায় এখনও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবাহ শুরু হয়নি। এককথায় নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রয়েছে বালুরঘাট শহর।