Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য! একইভাবে ভেঙেই চলেছে বাঙালির সংসার। বাঙালির যৌথ পরিবার নিশ্চিহ্নপ্রায়। অথচ একটা সময় এটাই ছিল পরিবারগুলোর যুগপৎ সৌন্দর্য ও শক্তি। আর এখন ‘তুমি আর আমি আর আমাদেরই সন্তান, এই আমাদের পৃথিবী!’ এই ‘সুখী পরিবার’ যে আমাদের জন্য কোনও ‘সুখী গৃহকোণ’ রচনা করতে পারেনি, তা আমরা বুঝি পারিবারিক অ্যালবামের বিবর্ণ ছবিগুলোর উপর হাত বুলিয়ে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
নবাব সিরাজ উদ্দৌলার আমলে বাংলা (উভয় বঙ্গ), বিহার (বর্তমান ঝাড়খণ্ড-সহ) ও উড়িষ্যা (‘ওড়িশা’ তখন বলা হতো না) একান্নবর্তী ছিল। এই সুবিশাল রাজত্ব পরিচালিত হতো মুর্শিদাবাদ থেকে। পলাশির যুদ্ধে সিরাজের পতনের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পুরো এলাকা কব্জা করে, এমনকী বক্সার যুদ্ধের পর তারা দেওয়ানি পায় দিল্লির সম্রাটের থেকে। সমগ্র অঞ্চল পরিচিত হয় ‘বেঙ্গল প্রেসিডেন্স‍ি’ নামে। ১৯১২ সালে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ বেরিয়ে যায় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে। এমনকী, প্রশাসনিক সংস্কারের দোহাই দিয়ে লর্ড কার্জন অবশিষ্ট বাংলাকেও ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করেন। তাঁর সিদ্ধান্ত মতো ১৯০৫ সালে তৈরি হয় পৃথক ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ প্রদেশ। এর বিরুদ্ধেই গড়ে ওঠে ‘বঙ্গভঙ্গ’ বিরোধী তীব্র গণআন্দোলন। ব্রিটিশ সম্রাটের নির্দেশে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ১৯১১-য় বাতিল হলেও চরম মূল্য দিতে হয় আমাদের। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সুদূর দিল্লিতে! কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি, ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশকে যূপকাষ্ঠে চড়ানোর শর্তে মেলে ‘স্বাধীনতা’। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় পূর্ববঙ্গ। কিন্তু ‘পাকিস্তান’ রাষ্ট্র ‘পূর্ব পাকিস্তান’ প্রদেশ বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের কাছে পরাজিত হয় ঠুনকো ‘ইসলামিক ঐক্য’—১৯৭১-এ সৃষ্টি হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। শুধুমাত্র বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে একটি আস্ত রাষ্ট্রের পত্তনের এই দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসে অভূতপূর্ব। 
তবে বাংলা নিয়ে ভাঙাভাঙির খেলা কি শেষ হয়েছে আদৌ? না। এপার, ওপার—বাংলার দু’দিক থেকেই মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নতার হুংকার কানে আসে। জোড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আপাতত কেউ ভাবে না। বরং কাঁটাতার কেন মজবুত নয় এবং এখনও কত কিমি কাঁটাতার বাকি—দুই বাংলার ‘অরক্ষিত’ সীমান্ত ঘিরে তারই রাজনৈতিক তরজা জারি থাকে অহরহ।
‘ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই’ মেনে নিয়েছে বাঙালি—অতঃপর, পরিবারিক বন্ধনের বিকল্প উপায়ও বার করেছে—পারিবারিক অনুষ্ঠান। সুযোগ যেন ‘মিস’ না-হয়, এমন আন্তরিকতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক সদস্য দেশ-বিদেশ থেকে এসে একত্র হয়। একই প্রবণতা ফিরে এসেছিল বাঙালির বৃহৎ পরিসরেও। দুই বাংলা রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রিক পরিচয়ে পৃথক হলেও বারবার প‍্রমাণ দিয়েছে যে, এসব বাহ্য। আত্মিক পরিচয়ে আমরা প্রত্যেকেই বঙ্গজ, বঙ্গসন্তান। আমাদের ভাষা, শিক্ষা, খাদ্যরুচি, পোশাকআশাক, উৎসব-সংস্কৃতির মধ্যে কোনও প্রভেদ নেই। বাংলা বর্ষবরণ দিয়ে শুরু হয়ে, কয়েক দশক যাবৎ তার মধুর পরিসমাপ্তি হয় বইমেলাতে। এপারে ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’ তো ওপারে ‘অমর একুশে বইমেলা’। তেরো পার্বণের অন্যতম এই উৎসব, বিশেষ করে, বইপাগল বাঙালির একান্ত আপন। 
কলকাতা বইমেলার সুবর্ণ জয়ন্তী অদূরেই। এবার ৪৮ বর্ষ। প্রত্যেক বছর কোনও একটি দেশকে ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি’ বেছে নিয়ে মেলা সেজে ওঠে। যেমন ২০২৫-এ জার্মানি, এবং তাদেরকে এই সম্মান প্রদান প্রথমবার। আমরা জানি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে আলাদা হয়ে যায়। এমনকী সমৃদ্ধ পশ্চিম জার্মানিতে পূর্বাঞ্চলের অভিবাসীদের ‘অনুপ্রবেশ’ রুখতে ১৯৬১ সালে বার্লিনে তুলে দেওয়া হয় সুউচ্চ প্রাচীর! কিন্তু জার্মান জাতির সৌভাগ্য যে ওই মজবুত প্রাচীরও স্থায়ী হতে পারেনি। ১৯৮৯ সালে জার্মানরাই নিজেদের হাতে সোল্লাসে ওই প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয়। এমনকী একবছর পর দুই জার্মানি জুড়ে গিয়ে গঠিত হয় ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি। 
অর্থাৎ একসময় ভেঙে গিয়েও জুড়ে গিয়েছে যে দেশ, সেই জার্মানিই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৫-এর ফোকাল থিম কান্ট্রি। অন্যদিকে, এবারের বইমেলায় অনুপস্থিত বাংলাদেশ! এই কাকতালীয় বৈপরীত্য অনেক পাঠককেই যে আহত করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯৯৬ সাল থেকে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের দুঃখজনক অনুপস্থিতি এই প্রথমবার। অথচ এতদিন এই সুবৃহৎ মেলায় ঢুকলেই দেখা যেত ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’, যেটা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ২০-২৫টি দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা তাদের গ্রন্থসম্ভার নিয়ে এখানে আসে। যেমন এবার থাকছে জার্মানি, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইরান, রাশিয়া, স্পেন এবং আর্জেন্টিনা, পেরু, কোস্টারিকা-সহ লাতিন আমেরিকার অনেকগুলো দেশ। থাকছে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, গুজরাত, হরিয়ানা, ইউপি, মহারাষ্ট্রের কিছু স্টল। প্রতিবার দেশি-বিদেশি বইয়ের স্টলের সংখ্যা থাকে কমবেশি এক হাজার। কিন্তু তার মধ্যে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এপার বাংলার অসংখ্য পাঠকের আবেগের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এই আবেগ কতখানি অন্তরের, বাংলাদেশের স্টলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়েই মিলত তার প্রমাণ। অথচ এবার তারা নেই, যারা টানা ২৯ বার এপার বাংলার পাঠকের মন কেড়ে নিয়েছে। 
১৯৯৬ সালে প্রথম একটি প্যাভিলিয়ন নির্ধারিত হয় বাংলাদেশের জন্য। ১৯৯৯-এ বাংলাদেশ ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি’ হওয়ার সুবাদে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন আরও দৃঢ় হয়। বইমেলায় একটি দিন পালিত হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবেও। ১৯৯৯-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান অতিথি। মেলার উদ্বোধন করেন কবি শামসুর রাহমান। তারপর থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের উজ্জ্বল উপস্থিতি কলকাতা বইমেলাকে সমৃদ্ধ করেছে। পড়শি দেশটি ফোকাল থিম কান্ট্রি নির্বাচিত হওয়ার দুর্লভ সম্মান পেয়েছে দু’বার (১৯৯৯ ও ২০২২)।
রাজনৈতিক ভাবে না-হলেও আমরা অন্তর থেকে জুড়ে আছি। ভাষা, সংস্কৃতির সেতু আমাদের সুপ্রাচীন—মায়ের নাড়ির টান যেমন! আমরা কি সেটাই ছিন্ন করতে এত ব্যগ্র হলাম ভ্রান্ত রাজনীতির চক্করে পড়ে? ২০২৪-এ কলকাতা মেলায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়। নানা বয়সি কমবেশি ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী মানুষ মেলায় এসেছেন এবং কেনাকাটা করেছেন। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়েও যাবে 
হয়তো, কিন্তু অসম্পূর্ণতাও রয়ে যাবে একটি দগদগে ক্ষতের মতোই। 
বিশ্বজগৎ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে একান্ত আত্মোন্নতির সুযোগ আগেও ছিল না এবং এখনও নেই, বরং কমেছে। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মধ্য দিয়েই বিশ্ব দেবতার অন্বেষণ সম্ভব বলে উপলব্ধি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ:
“বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো/ সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো।/ নয়কো বনে নয় বিজনে/ নয়কো আমার আপন মনে/ সবার যেথায় আপন তুমি, সেথায় আপন আমারো।” 
তাঁর আরো উপলব্ধির কথা তিনি বিশ্ববাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন এইরকম: 
“সবচেয়ে দুর্গম যে-মানুষ আপন অন্তরালে,/ তার কোনো পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে।/ যে অন্তরময়/ অন্তর মিশালে তবে তার অন্তরের পরিচয়।”
রবীন্দ্রনাথ নতুন কোন কথা বলেননি বস্তুত এটাই ভারতের অন্তরাত্মার বাণী। তবু আমরা এই উপমহাদেশের লোকজন, বিশেষত বাঙালিরা তাঁর কথা কতটা কাজে লাগিয়েছি? লাগাতে পারিনি বলেই বাংলাদেশের শ্রদ্ধেয় কবি শামসুর রাহমানকে একসময় আক্ষেপ করতে হয়েছিল: 
“বাঁধতে পারি নি কোনো সাঁকো,/ অথচ আমার আশেপাশে/
সাঁকো নেই বলে আমি মূক হয়ে থাকি,/ নিজেকেই প্রিয়-সম্ভাষণে করি প্রীত, নিজের হাতেই/ হাত রাখি। কিন্তু শুধু আয়নায় নিজের মুখ দেখে/ নিজের সঙ্গেই মেতে কথোপকথনে/ নিজেকে আদর করে চাদরে সর্বাঙ্গ ঢেকে সকল সময়/ থাকা দায়। অন্য কারো হাত/ ছোঁয়া চাই, সোনা চাই অন্য কারো স্বর—/ মানে সাঁকো থাকা চাই। ... নিপুণ বাঁধতে গিয়ে সাঁকো তবু আমি/ ব্যর্থ হয়ে যাই,/ বারবার ব্যর্থ হয়ে যাই ...” 
এই ব্যর্থতা কেন সে কি বিশদে বলার প্রয়োজন আর পড়ে?
সৌহার্দ্যের পরিবেশ, আগামীতে সমস্ত কল্পনাকে অতিক্রম করবে বলেই আমরা মনে করেছি। সেই সম্ভাবনার অঙ্কুর বিনষ্ট হয়নি। আবার আলো বাতাস জল পুষ্টি দিয়ে তাকে বাঁচাতেই হবে। আমরা প্রত্যাশায় থাকব, পরবর্তী বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের মর্যাদার প্রত্যাবর্তনই ঘটবে।
29th  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
একনজরে
মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সার্বিক উন্নয়নে ভাগীরথীর উপর আমানিগঞ্জ-খোশবাগ ফুটব্রিজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এবার এই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিলেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ...

খালিস্তানি ও গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেন! ব্রিটিশ সরকারের একটি নথি থেকে সেই তথ্যই মিলছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে পড়েছে। সেখানে মোট ছ’টি ক্ষেত্রকে ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য ‘নয়া বিপদ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ...

গভীর রাতে ওয়্যারলেস মেসেজে বদলি করা হল দক্ষিণ গোয়ার পুলিস সুপার সুনীতা সাওয়ান্তকে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির। ...

স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। তারই জেরে হল না ক্লাস। বন্ধ মিড ডে মিলও। বুধবার জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সদরের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
শহীদ দিবস
১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়
১৯০৩- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন লর্ড কার্জন
১৯৩০- কিংবদন্তী ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত) জন্ম
১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার
১৯৪৮- নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত মহাত্মা গান্ধী
১৯৪৮- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নামকরণ হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি
১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়
১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান
২০২০- ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৯৮ টাকা ১০৯.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৪ টাকা ৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮১,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ২৪/৩৫ দিবা ৪/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ২/১৫ দিবা ৭/১৫ পরে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/৪৫ শেষরাত্রি ৫/৫১। সূর্যোদয় ৬/২০/৩১, সূর্যাস্ত ৫/১৯/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৮ মধ্যে।
১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ সন্ধ্যা ৫/৪১। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৫ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
২৯ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দুপুরে শহরে একাধিক মিটিং-মিছিল, শ্লথ হতে পারে যানবাহনের গতি
আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে একাধিক মিটিং, মিছিলে শহরে শ্লথ ...বিশদ

11:31:00 AM

কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতার মহিলার
পূর্ণকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মারা গিয়েছেন কলকাতার ...বিশদ

11:30:49 AM

দশ হাজারি স্মিথ
ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেই ১০ হাজার রানের মাইলস্টোন ...বিশদ

11:30:00 AM

মালদহে শ্যুটআউটের ঘটনায় আরও এক জনের মৃত্যু
মালদহের বৈষ্ণবনগরে মদের আসরে গুলিকাণ্ডে আরও একজনের মৃত্যু হল। কলকাতায় ...বিশদ

11:29:10 AM

কোচবিহারে ২ দিনে মোট ৬’টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬ দুষ্কৃতী

11:11:00 AM

জুনিয়র ন্যাশনাল আর্চারিতে সুযোগ পেল জলপাইগুড়ির ৪ জন
১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বোলপুরে শুরু হতে চলা জুনিয়র ন্যাশনাল আর্চারিতে ...বিশদ

11:04:00 AM