পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
সরকারি আইনজীবী সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, সৌম্যজিৎ দাস নামের ওই নাবালককে অরবিন্দ শ্বাসরোধ করে খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলেও দেওয়া হয়েছিল। ১৭ জন সাক্ষী দিয়েছেন। বিচারক অরবিন্দ তাঁতিকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ে ছ’মাসের অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য আইনি সহায়তা কেন্দ্র মারফত মৃতের মা সোমা দাসকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আদালত ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা সোমা, ব্যান্ডেলের কেওটার এক যুবককে বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে তাঁদের ছেলে সৌম্যজিতের জন্ম হয়। পরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে অরবিন্দ তাঁতির সঙ্গে সোমার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু ছেলেকে নিয়ে সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। এরপর ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন সোমা। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি সেই বাড়িতে আসে অরবিন্দ। এরপর সৎ ছেলেকে বিস্কুট কিনতে পাঠিয়ে পিছু নেয় সে। বিস্কুট কিনে আর ফিরে আসেনি সৌম্যজিৎ। পরের দিন হুগলি স্টেশনের কাছে তার মৃতদেহ মেলে। ওই ঘটনায় দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সোমা। বুধবার সেই মামলার রায় দিয়েছেন বিচারক।