পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
পরে জানা যায়, বিবাহ বাসরটি আসলে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাকাউটের মোহনপুর (হরিণঘাটা) ক্যাম্পাসের সাইকোলজি বিভাগের ক্লাসরুম। পাত্র প্রথম বর্ষের পড়ুয়া আর পাত্রী বিভাগীয় প্রধান! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে সাক্ষী সহ তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশনও করা হয়েছে। এমন এক বৈসাদৃশ্য ব্যাপার সামনে আসায় চারিদিকে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। কেন বিয়ে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে? বিভাগীয় প্রধানই বা কেন এভাবে বিয়ে করবেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে? স্রেফ নীতি পুলিসরাই নয়, সব স্তরের মানুষই এমন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় দাসের ফেসবুক পোস্ট এবং সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বয়ানে ঘটনাটির অন্য দিক সামনে আসে। তাঁর বক্তব্য, নবীন বরণের অংশ হিসেবে একটি নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ভিডিও ক্লিপ তারই অংশ। তবে, তাঁরই এক মহিলা সহকর্মী পেশাগত শত্রুতার কারণে এটা ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিকৃতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছেও পৌঁছেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দেন পায়েলদেবী। বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্য, তিনি বিবাহিতা। এতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও কুপ্রভাব পড়ছে। যদিও, ছাত্রছাত্রীরা তাঁর পাশে রয়েছে। জানা গিয়েছে, মূল ঘটনাটি ১৬ জানুয়ারির।
যদিও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়নি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, পাঁচজনের কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বুধবারও কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবারও হবে। এদিকে, পরীক্ষা চলছে। তাই ছাত্রদের বয়ান নিতে সমস্যা হচ্ছে। ভিডিও ক্লিপিংসে দেখা যাওয়া ছাত্রটিও পরীক্ষার্থী। তাঁকে অবশ্য নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ি বলেন, ঘটনাটি দেখে হচকচিয়ে গিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এগুলি না হলেই ভালো। তবে যেটা শুনেছি, ওদের বিভাগের কোনও একটা অ্যাক্টিভিটি ছিল। তবে সেটাও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে করা উচিত ছিল। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষকই এই ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। অন্য বিভাগের এক অধ্যাপক বলেন, সন্দেহ নেই ঘটনাটি নিয়ে লজ্জায় পড়েছি। সাইকোলজি কোর্সে এ ধরনের কোনও ‘অ্যাক্টিভিটি’র কথা আছে কি না, জানি না। যদি নাটকও হয়ে থাকে, তাহলেও বিষয়টি রুচিশীল নয়।