পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই জায়গায় শৌচালয় ছিল। তবে সেটি জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন করে শৌচালয় নির্মাণ হয়। বিরোধীদের প্রশ্ন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সরকারি জায়গায় কীভাবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় গড়ে উঠল? এসবের পিছনে কাদের হাত রয়েছে? ব্লক প্রশাসন কি কিছুই দেখছে না? চোপড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মসিরউদ্দিন বলেন, দুদিন আগেও সেখানে সুলভ শৌচালয় লেখা ছিল। এলাকার সাধারণ মানুষও সেটা জানেন। রাতারাতি সেই পুরনো লেখা মুছে দেওয়া হয়। শৌচালয় রূপান্তরিত হয়ে যায় ঘিরনিগাঁও অঞ্চলের তৃণমূল কার্যালয়ে।
এক কংগ্রেস নেতা বলেন, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনেছি। তৃণমূলের বিরুদ্দে সরব হয়েছে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বও। দলের নেতা আনসারুল হক বলেন, শৌচালয়টি নির্মাণ করতে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে। এখন তারই একাংশ তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সরব হয়েছি।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফজলুল হক। তিনি বলেন, সরকারি শৌচালয় যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছে। সেখানে কোনও কিছুই পরিবর্তন হয়নি। তবে দলীয় কার্যালয় তৈরির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিধায়ক হামিদুলও। বলেছেন, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিরোধীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব বলছে। দলীয় কার্যালয় ঘিরে এমন বিতর্কে স্থানীয়স্তরেও যথেষ্ট সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন চোপড়ার বিডিও সমীর মণ্ডল। তিনি বলেন, আমার কাছে সংশ্লিষ্ট ওই শৌচাগার প্রসঙ্গে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে কোন জায়গায়, কোন নির্মীয়মাণ শৌচাগার দখল হয়েছে আমরা দেখব। বিডিও জানান, নির্মীয়মাণ নতুন শৌচাগার এখনও সরকারিভাবে হস্তান্তর হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।