পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
করিধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বুধবার আয়োজিত হয়েছিল দ্বিতীয় বর্ষের ‘প্রাণের মেলা’। স্কুলের পড়ুয়ারা সেখানে নানা স্বাদের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। মেলার কোনও স্টলে চিলি চিকেন, কোথাও মাশরুম পকোড়া, চাট, চপ, কফির দোকান দিয়েছিল পড়ুয়ারা। মেলার শুরুতেই শিক্ষক সুরজিৎ সেনগুপ্তের লেখা ‘উজান বেয়ে’ বইয়ের উদ্বোধন হয়। বইটি মেলাপ্রাঙ্গণে থাকা বুক স্টলে স্থান পেয়েছিল।
এদিনের মেলায় বহু পড়ুয়া স্টল দিয়েছিল। কেউ কেউ খাবার ছাড়া অন্য সামগ্রীর স্টল দেয়। তবে মেলার একটি স্টলে সবার নজর ছিল। সেখানে বিশেষভাবে সক্ষম দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মহাদেব শর্মা গাজরের হালুয়া বিক্রি করছিল। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংগ্রাম করে তার দেওয়া স্টল মেলায় আসা মানুষের প্রশংসা কুড়োয়। অনেকেই তার স্টলের গাজরের হালুয়ার স্বাদে মোহিত হয়েছেন। মহাদেব বলে, মেলায় সবার সঙ্গে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। ফুচকার স্টলের দায়িত্বে থাকা সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া শুভম গড়াই বলে, মেলার শুরু থেকেই বিক্রি হচ্ছে। স্কুলের বন্ধু সহ সিনিয়র ও জুনিয়ররা ভিড় জমিয়েছে। একটা ভালো অভিজ্ঞতা হল। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া রূপম দাস ফুচকা, গাজরের হালুয়া খেতে ব্যস্ত ছিল। সে বলল, ৫০টাকা নিয়ে মেলায় এসেছিলাম। এখানে খুব ভালো খাবার পেলাম। একদম দোকানের খাবারের মতো স্বাদ।
পড়ুয়াদের স্টলে থাকা খাবারের গুণগত মান যাচাই করছিলেন শারীরশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক বিদ্যুৎ মণ্ডল। প্রতিটি স্টল ঘুরে তিনি খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করেন। স্কুলের টিআইসি যামিনীকান্ত সাহাও একাধিক স্টল ঘুরে দেখেন। সেইসঙ্গে মাশরুম পকোড়ার স্বাদ পরখ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এই মেলা আয়োজন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই মেলা থেকে পড়ুয়ারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাঠ পেল।