সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে, কোন রাজ্য কী কী প্রশাসনিক পদক্ষেপ করল, তার উপর ভিত্তি করে র্যাঙ্ক হবে না। সেই পদক্ষেপগুলি বাস্তবে কতটা উপকারে এল, তার মূল্যায়নের উপরই প্রতিযোগিতা চলবে রাজ্যগুলির মধ্যে। সেই প্রশাসনিক কাজগুলি শেষ করার প্রাথমিক সময়সীমা ছিল ৩১ মার্চ। তা বাড়িয়ে ১৫ জুন করা হয়। জানানো হয়, ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্যগুলি যে তথ্য জানাবে, সেই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা পরখ করে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্য সময়সীমা দেওয়া হয় ৩০ জুন। কিন্তু তা ফের বাড়ায় কেন্দ্র। ১৪ আগস্টের মধ্যে রাজ্যগুলি যে তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রকে, তার উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা হবে তারপর।
শিল্পের গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ সালের জন্য যে র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে মোট ৩৭২টি বিষয় সামনে এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোন কোনে রাজ্য সেগুলিতে কী কী পদক্ষেপ করল, তার উপর নির্ভর করেছিল প্রতিযোগিতা। কিন্তু একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার শর্ত দিয়েছিল, মোট ৭৮টি ক্ষেত্রকে তারা বেছে নেবে, যেখানে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করল, তার পাশাপাশি জানা হবে সেই পদক্ষেপগুলি আদৌ কারও উপকারে এল কি না। খাতায় কলমে সংস্কারের মার্কশিটে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পায় পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সার্বিক মূল্যায়নে তার ঠাঁই হয় দশম স্থানে।
এবার ফের সেই প্রতিযোগিতাপর্ব শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৮০টি বিষয়। সেখানে খাতায় কলমে কোন রাজ্য কী পদক্ষেপ করল, তা আর যাচাই করা হবে না। সেই পদক্ষেপগুলিতে আদৌ কারও উপকার হল কি না, এবার সেটাই মূল বিবেচ্য বিষয় হবে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারগুলির নিজস্ব দাবিকে আর গুরুত্ব দেবে না কেন্দ্র। বরং সেই দাবিগুলি কতটা বাস্তবসম্মত, তার যাচাই হবে। যেহেতু বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই গোটা বিশ্বে এই প্রতিযোগিতায় আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে, তাই এই র্যা ঙ্কিংকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ বিদেশি বিনিয়োগ কোন দেশে কতটা আসবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ওই র্যা ঙ্কিংয়ের উপর, এমনটাই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারত যদি প্রথম সারিতে উঠে আসতে চায়, তাহলে সব রাজ্যকে একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে। সেখানে এরাজ্য কোথায় জায়গা করে, এখন সেটাই দেখার।