শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বোরো থানার কাছে রবিবার রাস্তার পাশেই শিশির দত্ত নামে এক ব্যক্তির একতলা বাড়ির গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান ছিল। সন্ধ্যায় সেই উপলক্ষে নতুন বাড়ির ছাদে প্যান্ডেলের মধ্যে সৎসঙ্গের আয়োজন করেন গৃহকর্তারা। তাতে আত্মীয়রা ছাড়াও অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন। সন্ধ্যায় ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন ছাদে প্রায় ৩০জনেরও বেশি ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮টার পর প্রবল ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় ঝড়ো হাওয়ায় প্যান্ডেল সহ বেশ কয়েকজন ছাদ থেকে নীচে পড়ে যান। তাঁদের মধ্যে প্রদীপবাবুকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, গৃহকর্তার স্ত্রী রিঙ্কু দত্ত এবং স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ কাজল দাঁ ওই ঘটনায় গুরতর জখম হন। তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আরও তিনজন জখম হলেও তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।
ঝড়ো হাওয়ায় শিশিরবাবুর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল কিশোরী চায়না তন্তুবায়। সে বলে, প্রথমে একবার ঝড়ের সময় সেখানে যাইনি। পরে আবার ওরা ডাকলে সেখানে গিয়েছিলাম। হঠাৎ তুমুল বেগে ঝড় এল। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছিল। ঝড়ের তাণ্ডবে ছাদ থেকে প্যান্ডেল সহ নীচে পড়ে গিয়েছিলাম। প্যান্ডেলের কাপড় জড়িয়ে পড়ে যাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃতের ভাগ্নে মিঠু দে বলেন, অনুষ্ঠানে এসে সবাই আনন্দ করছিল। তারমধ্যেই যে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটবে কেউ বুঝতেই পারিনি। ঘটনার সময় প্রকৃতির ওই তাণ্ডব নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। সকলেই ছাদে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ দমকা হওয়ায় বাড়ির অন্যান্যরা প্যান্ডেল সহ ছাদ থেকে পড়ে যায়। মামা আগে পড়ে যান। পরে শিলাবৃষ্টির মধ্যেই সকলকে উদ্ধার করা হয়।
মৃত প্রদীপবাবুর ভাই সুমন তন্তুবায় বলেন, শিশিরবাবুর বাড়িতে গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে সৎসঙ্গের আয়োজন হয়। সেখানেই গিয়েছিল দাদা। প্রবল ঝড়ে প্যান্ডেলের সঙ্গেই ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। বাকিরা জখম হলেও আর কারও মৃত্যুর খবর নেই। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রবল ঝড়ে ছাদের প্যান্ডেল রক্ষা করতে গিয়ে নাকি অন্য কোনওভাবে ছাদ থেকে একাধিকজন পড়ে যান তা খতিয়ে দেখছে বোরো থানার পুলিস।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। তার জেরে বেশকিছু এলাকায় মাটির বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জায়গায় গাছও পড়ে যায়।