শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এসবিআইয়ের বার্নপুর শাখার চিফ ম্যানেজার বিপিন কুমার বলেন, কিছুদিন আগে পর্যন্তও প্রতারকরা ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের ফোন করে ব্যাঙ্ক আধিকারিক পরিচয় দিত। তারা কথার ছলে এটিএম সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিত। তারপরেই তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ করত। কিন্তু এখন সাইবার অপরাধীরা দু’ভাবে এটিএম কার্ড ক্লোন করছে। প্রথমত, তারা নিরপত্তারক্ষীবিহীন এটিএমগুলিতে স্কিমিং ডিভাইস মেশিন লাগিয়ে রাখছে। তারফলে কার্ড এটিএম মেশিনে ঢোকানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। সেই তথ্য নিয়ে তারা বিহার, ঝাড়খণ্ড বা দূরের কোনও জায়গা থেকে টাকা তুলছে। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সাইট থেকেও কার্ড ক্লোন হচ্ছে। বিশেষ করে গেমিং সাইট বা অনামী কেনাকাটার কোনও সাইট থেকেও সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আসানসোলের বড়তোড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর দাসের অ্যাকাউন্ট থেকে চার বারে ৪০হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। কোনও প্রতারক তাঁকে ফোন করে এটিএম কার্ডের ওটিপি জানতে চায়নি। পুলিস তদন্তে নেমে জেনেছে, দুমকার একটি এটিএম থেকে তাঁর টাকা তোলা হয়েছে। বার্নপুরের ওই ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট থাকা অন্য এক গ্রাহকেরও অ্যাকাউন্ট থেকেও দু’বারে ২০হাজার টাকা তোলা হয়। তাঁর টাকা তোলা হয়েছিল বর্ধমানের একটি এটিএম থেকে। আসানসোলের গোপালপুরেরও এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দুষ্কৃতীরা শিলিগুড়ির এটিম থেকে তোলে।
তদন্তকারীরা মনে করছে, সাইবার অপরাধীরা পুলিসের চোখে ধুলো দিতেই স্থানীয় এলাকায় কার্ড ক্লোন করে দূরের কোনও জেলা বা রাজ্য থেকে টাকা তুলছে। কারণ স্থানীয় কোনও এটিএম থেকে টাকা তোলা হলে সিসি ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়ে। পুলিস খুব সহজেই অপরাধীদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু, দূরের কোনও এটিএম থেকে টাকা তোলা হলে তাদের কাছে পৌঁছতে পুলিসকে বেগ পেতে হয়। পুলিস কমিশনার লক্ষ্মী নারায়ণ মিনা বলেন, সম্প্রতি সাইবার ক্রাইম নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। সেগুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে শিল্পাঞ্চলে কার্ড ক্লোন হওয়ায় চিন্তায় ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের। প্রতারিত গ্রাহক চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, এভাবে চলতে থাকলে এটিএম কার্ড ব্যবহার করতেই ভয় লাগবে। বিপিনবাবু বলেন, নিরপত্তারক্ষী না থাকলে কোনও এটিএমে টাকা তোলা ঠিক নয়। টাকা তোলার সময় এটিএম মেশিনে কোনও ডিভাইস লাগানো রয়েছে কিনা তা ভালোভাবে দেখা উচিত। তাছাড়া অনলাইনে পুরস্কারের লোভে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কোনও তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়।