ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
অভিযোগ, সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক দলের জেলা সভাপতির নির্দেশ না মেনে নিজের মতো করে দল চালাতে চাইছেন। সম্প্রতি দিনহাটা-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনকে ওই ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে অনাস্থায় মদত দেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার করেন জেলা সভাপতি। কিন্তু তারপরও সিতাইয়ের বিধায়ক তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছেন। জেলা সভাপতি বহিষ্কার করলেও সেই নির্দেশ মানছেন না জগদীশবাবু। উল্টে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভায় প্রকাশ্যেই তোপ দাগছেন। ফলে জেলায় মুখ পুড়ছে তৃণমূল শিবিরের। তার জেরেই জেলার তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানাতে কলকাতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার মুখপাত্র তথা তুফানগঞ্জ শহর ব্লক সভাপতি শিবপদ পাল বলেন, সিতাইয়ের বিধায়ক যে ভাষায় দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন, তার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। ব্লক সভাপতিরা একত্রিত প্রতিবাদ জানাতে কলকাতায় যাচ্ছি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমি ব্যাক্তিগত কুৎসার জবাব দিই না। ব্লক সভাপতিরা আমার পাশে দাঁড়ানোয় তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আরও যদি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আমার পাশে থাকেন, তবে স্বাগত জানাব। যদিও সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, কোথায়, কী মিটিং হয়েছে, কে, কী করেছেন আমার জানা নেই। জেলার সভাপতি হিসেবে গিরীন্দ্রবাবুর যদি এগুলি কাজ হয়ে থাকে, তিনি করুন। আমার তাতে কী। তিনি আরও বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের কাছে যাক আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যাক, আমি যা বলার আগেও বলেছি, এখনও তাই বলছি। তিনি জেলার সংগঠনকে শেষ করার চেষ্টা করছেন। আসলে জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার বদলে তিনি আরও দুর্বল করছেন। এটা রুখতে যা করার, তিনি সেটাই করে যাবেন বলে জগদীশবাবু এদিন সাফ জানিয়ে দেন।