পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এনিয়ে বিজেপি’র পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, গত ১০ তারিখে মিটিং করে ওদের আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা দলে থেকেও কোনও কাজ করতেন না। তাঁদের বহিষ্কারে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। এনিয়ে কথা বলার জন্য দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য রাজু বিস্তাকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি তার উত্তর দেননি। এনিয়ে দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র কমল ঘোষ বলেন, পাহাড়ের রাজনীতি একেবারেই ভিন্ন খাতে চলে। সেনিয়ে পাহাড়ের নেতৃত্ব বা রাজ্য নেতৃত্বই কিছু বলতে পারবে।
পাহাড় বিজেপি’র শক্ত ভোট ব্যাঙ্ক বলেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বিভোর পাহাড়বাসী হাত উজাড় করে ভোট দিয়ে একের পর এক যশবন্ত সিংহ, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মতো অচেনা অতিথিদের জিতিয়ে দিয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনেও দ্বিধাবিভক্ত পাহাড়ে জয় পেতে বিজেপি’র অসুবিধা হয়নি। এবারও কার্যত ‘অচেনা’ পাহাড়ের জামাই রাজু বিস্তাকে পাহাড় জিতিয়ে দিয়েছে। এহেন ভোটব্যাঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় বিজেপিতে ভাঙন রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে।
রাজনৈতিক মহলের পর্যালোচনা, এই প্লাস পয়েন্টই পাহাড় বিজেপি’র কাছে এখন বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলেই পাহাড়ে দল ভাঙতে শুরু করেছে। দলেরও অনেকে বলছেন, এলাকা থেকে জয়লাভের পর আর নেতাদের সেখানে পা পড়ে না। রাজু বিস্তা দু’একবার পাহাড়ে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। এতে দলের অপমানিত কর্মী বাহিনীর মনোবল ফেরাতে দল কোনও পদক্ষেপ করেনি। পাহাড়বাসীর সুখে-দুঃখে নেতাদের আর পাওয়া যায়নি। সেখানে দলের সংগঠন কোনও কালেই ছিল না। হাওয়ায়, আবেগে ভোট হয়েছে। পাহাড়ে ভোটের আগে গাঁও গাঁও ঘুরেছিলেন বিস্তা। পাহাড়ের জামাই হিসেবে স্থানীয় জনজাতিদের ভাষায় বক্তব্য দিয়ে তাঁদের মন জিতে নেন বিস্তা। কিন্তু পাহাড়ের বাসিন্দাদেরই অনেকে এখন বলছেন, জামাইকে আর দেখা যাচ্ছে না। চা বাগানে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চালু করা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেই। এখন এনআরসি আর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও পাহাড়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় এলাকায় থেকে মানুষের পাশে না থেকে সংসদ সদস্য শুধু বিবৃতি দিচ্ছেন। এরই প্রভাব পড়েছে শুক্রবার দলত্যাগের ঘটনায়।