শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
দলের উত্তরবঙ্গ জোনালের আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেই প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করেই প্রার্থীপদ চূড়ান্ত করা হবে। মালতী দেবী বলেন, কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। দল যাঁকে প্রার্থী করবে তার পক্ষেই আমরা লড়াই করব। তবে প্রার্থী হতে চেয়ে তাঁর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। দলের জেলা সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, আবেদন করেছি। তবে কাকে প্রার্থী করা হবে সেটা দলই চূড়ান্ত করবে।
কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। তবে এসবের মধ্যেই বিজেপির জেলা সভাপতি সহ দলের অন্তত তিনজন জেলা নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে উপরমহলে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ফালাকাটার একটি স্কুলের শিক্ষকও রয়েছেন। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ওই স্কুল শিক্ষক কয়েকমাস আগে জেলা বিজেপি’র পদও পেয়েছেন। অন্যদিকে স্বয়ং জেলা সভাপতিও প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করায় দলের অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েছেন। দলের একাংশের মতে দলের জেলা সভাপতি প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করলে নির্বাচনের সময় দলের রাশ কার হাতে থাকবে? তাঁর আবেদন গ্রাহ্য না হলে তিনি কি আদৌ অন্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে মন দিতে পারবেন? এই প্রশ্নও কর্মীদের ভাবাচ্ছে। দলের একাংশের মতে, মালতী দেবীর স্বামীও আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর জেরে দলের অন্দর মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। তবে বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব এনিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে দলের জেলা নেতারা যেভাবে প্রার্থী হওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাতে রাজ্য নেতারাও যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন। অন্যদিকে রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ এমন দু’জনও প্রার্থী হতে চেয়ে উপরমহলে আবেদন করেছেন। মূলত রাজপরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা প্রার্থী হওয়ার জন্য তদ্বির করছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের একজন প্রাক্তন বিধায়ক, তিনবিঘা আন্দোলনে একজন নেতা, পঞ্চানন বর্মার স্মৃতিরক্ষা আন্দোলনের নেতা যিনি অতীতে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনিও বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে দলের অনেকেই চাইছেন সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন কাউকে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু তেমন যোগ্য লোক পেতে দল কার্যত হিমসিম খাচ্ছে। এর মধ্যেই যুব তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে আসতে পারেন বলে দলের অন্দরে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছে। এমনকী নিশীথবাবু বিজেপিতে এলে দল কতটা সুবিধা পাবে তা নিয়েও নানা পর্যালোচনা চলছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে সেদিকে দল নজর রেখেছে। সেই প্রার্থীর তালিকা দেখার পরই বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। এব্যাপারে কিছুটা সতর্ক হয়েই দলীয় নেতৃত্ব পা ফেলতে চাইছে। তবে তৃণমূলের মতো শক্তিশালী সংগঠনের সঙ্গে যুঝতে গেলে যে যোগ্য প্রার্থী দরকার সেটাও দল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। কিন্তু পছন্দের ব্যক্তি প্রার্থী হতে না পারলে দলের অন্দরে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে এটাও বুঝেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে প্রার্থীপদকে ঘিরে মাথাচাড়া দেওয়া কোন্দল থামানোই এখন দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।