বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীন—বিশ্বের এই তিনটি দেশই কেবলমাত্র নিজেদের মহাকাশযানে করে মানুষ পাঠাতে পেরেছে মহাকাশে। অন্যান্য দেশ মহাকাশে মানুষ পাঠালেও, তারা এই তিনটি দেশের মহাকাশ যানে করেই তাঁদের মহাকাশে পাঠিয়েছিল। এর আগে ভারতীয় নভোশ্চর রাকেশ শর্মাও ১৯৮৪ সালে রাশিয়ার মহাকাশ যানে করে মহাকাশে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে সফল হলে, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে নিজ উদ্যোগে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ইতিহাস রচনা করবে ভারত। সেই ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতেই তিন ভারতীয় নভোশ্চরদের দলে এক মহিলাকেও রাখা হতে পারে এদিন ইসরোর চেয়ারম্যান বলেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নভোশ্চর ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা ভস্তক ৬ মহাকাশযানে করে মহাকাশে গিয়ে প্রথম মহিলা নভোশ্চর হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। সেই ঘটনার পর প্রায় ৫৫ বছর পর বিশ্বে পুরুষ নভোশ্চরের সংখ্যা প্রায় ৬০০ ছুঁতে চলেছে। কিন্তু মহিলা নভোশ্চরের সংখ্যা ৫০-এর সামান্য বেশি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা নভোশ্চর হিসেবে কল্পনা চাওলা এবং সুনিতা উইলিয়ামস আমেরিকা থেকে ইতিমধ্যে মহাকাশে গিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন। কল্পনা চাওলার আর ফিরে আসা না হলেও, সুনিতা উইলিয়ামস একের বেশি বার মহাকাশে গিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রথমবার নিজ উদ্যোগে নভোশ্চর পাঠাতে চলেছে, সেখানে তিনজনের মধ্যে একজন মহিলা থাকলে, সেটাও বিরল নজির হবে। কারণ বিজ্ঞানী মহলের দাবি, প্রথমবার নিজ উদ্যোগে নভোশ্চর পাঠানোর সময় একজন মহিলা থাকলে, তা ইতিহাসে প্রথমবার। বিশ্বের কাছে এক অন্য বার্তা পৌঁছবে। সেই সঙ্গে এই উদ্যোগ ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানীদের আরও ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। তবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে ইসরো অবশ্য দু’টি মানুষবিহীন মহাকাশযানকে (২০২০ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জুলাইতে) পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে।