নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীর্ঘ লকডাউনের ফলে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই চলতি শিক্ষাবর্ষেও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশফেল থাকছে না। বুধবার এক ভিডিওবার্তায় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা বিপর্যয়ের জেরে রাজ্যের বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থায় কেন্দ্রীয় সাহায্য হিসেবে কমপক্ষে ২৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আর্জি জানালেন, আরও নানা বিষয়ে রাজ্যের প্রাপ্য ৩৬ হাজার কোটি টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার। ওই চিঠিতেই মুখ্যমন্ত্রী ডিভল্যুশন (কর, সেস ও সারচার্জ বাবদ যে অর্থ রাজ্য থেকে কেন্দ্র নিয়ে যায়, তার ফেরত পাওয়া অংশ) বাবদ কেন্দ্র যে ১১ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দিয়েছে, তা বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়েছেন, কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্ভূত অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে তিনি এই সাহায্য চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভিত্তি অনুযায়ী।
কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
সৌম্যজিৎ সাহা, কলকাতা: ২০১৯-’২০ সালের কেন্দ্রীয় পোর্টালে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য আপলোড করার নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে রাজ্য। সোমবার পর্যন্ত এখানকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশন নামক পোর্টালে যাবতীয় তথ্য আপলোড করে দিয়েছে। লকডাউনের জেরে এই প্রক্রিয়া এখন কিছুটা ধীরগতিতে এগচ্ছে। কিন্তু তার আগে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যেভাবে কাজ করেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এই কাজে বেশ কিছুটা পিছিয়ে সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। সেই তুলনায় যথেষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা ইতিবাচক। ৩১মার্চ ছিল এই তথ্য আপলোডের শেষদিন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই তারিখ পিছিয়ে ৩১ মে করা হয়েছে। প্রথম দফা সময়সীমার মধ্যে রাজ্য অধিকাংশ কাজই শেষ করে ফেলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২টি এই কাজ শেষ করে ফেলেছে। কলেজের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩০। তার মধ্যে ১১০০-রও বেশি কলেজ তাদের যাবতীয় তথ্য আপলোড করে দিয়েছে। ‘স্ট্যান্ড অ্যালোন’ প্রতিষ্ঠানগুলিই এই কাজে সবচেয়ে এগিয়ে। মোট ৪৭১টির মধ্যে ৪২৫-এরও বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য নথিভুক্ত করার কাজ শেষ করে ফেলেছে। সূত্রের খবর, বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও এই কাজে সক্রিয়। তথ্য আপলোড করার নিরিখে সবচেয়ে পিছিয়ে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি। পাশাপাশি, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, প্রযুক্তি সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় সেই কাজ করে উঠতে পারেনি। এছাড়াও তথ্য আপলোড করা বাকি ৩৪টি পলিটেকনিক কলেজেরও। অন্যান্য রাজ্যে কী অবস্থা? পরিসংখ্যান বলছে, এই কাজে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে গুজরাত। তাদের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ। তারপর তামিলনাড়ু (৯২ শতাংশ) এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৯১ শতাংশ)। তালিকায় সবচেয়ে শেষে রয়েছে অসম।
তাদের মাত্র ৩৬ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কাজ শেষ করতে পেরেছে। ৫০ শতাংশ কাজ হয়নি, সেই তালিকায় পাঁচটি রাজ্য রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ,পাঞ্জাব, ওড়িশা। শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের মতে, রাজ্যের সাফল্যের হার বেশ ভালো। লকডাউন না হলে, এতদিনে বাকি কাজও শেষ হয়ে যেত। সূত্রের খবর, এই লকডাউনের কারণে গত এক সপ্তাহে আপলোডিংয়ের কাজ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। কারণ সব প্রতিষ্ঠানই এখন বন্ধ। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে বাড়ি থেকে আপলোড করছেন। তাতে অবশ্য কাজ সেভাবে এগচ্ছে না।
তাদের মাত্র ৩৬ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কাজ শেষ করতে পেরেছে। ৫০ শতাংশ কাজ হয়নি, সেই তালিকায় পাঁচটি রাজ্য রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ,পাঞ্জাব, ওড়িশা। শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের মতে, রাজ্যের সাফল্যের হার বেশ ভালো। লকডাউন না হলে, এতদিনে বাকি কাজও শেষ হয়ে যেত। সূত্রের খবর, এই লকডাউনের কারণে গত এক সপ্তাহে আপলোডিংয়ের কাজ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। কারণ সব প্রতিষ্ঠানই এখন বন্ধ। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে বাড়ি থেকে আপলোড করছেন। তাতে অবশ্য কাজ সেভাবে এগচ্ছে না।
