শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এদিনের ঝড়বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিতে মৃত্যুর খবর এসেছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। কেশপুর এবং কেশিয়াড়িতে বাজ পড়ে মারা যান দু’জন। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার মানবাজারে বাড়ির ছাদে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন ঝড়ে প্যান্ডেল খুলে পড়ে নীচে। তাতে মারা যান একজন। বেশ কয়েকজন আহতও হন। খাতড়ায় শিলাবৃষ্টিতে মারা যান এক বৃদ্ধ। এদিন ভোররাতে ঝড়খালিতে লঞ্চ থেকে হেড়োভাঙা নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় অভিষেক পাণ্ডা নামে এক যুবকের। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বাসিন্দা। বারুইপুরের কুরালি গ্রামে মল্লিকা নস্কর নামে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থিনী বাজ পড়ে মারা যায়।
ঝড়বৃষ্টির জেরে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ বিভাগের শিয়ালদহ-রানাঘাট মেন লাইন, শিয়াদহ-বারাসত, বারাসত-বনগাঁ, শিয়ালদহ থেকে লক্ষীকান্তপুর, ডানকুনি, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার শাখা এবং রানাঘাট-গেদে শাখায় সিগনাল বিভ্রাটের জেরে রাত আড়াইটের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সোনারপুর এবং বজবজ স্টেশনের মধ্যে ওভারহেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। খড়দহ ও দমদম জংশনে ওভারহেড তারে গাছের ডাল পড়ায় পরিষেবা ব্যাহত হয়। এই ঘটনার জেরে এদিন শিয়ালদহ বিভাগের ১০২টি লোকাল ট্রেন সময়ে চলেনি। তিন জোড়া ট্রেন বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে হাওড়া বিভাগেও উত্তরপাড়ার কাছে ওভারহেডে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। হাওড়া মেন শাখায় আটটি ট্রেন সময়ে চলেনি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বক্তব্য, শালিমার এবং ভদ্রক শাখায় বিভিন্ন জায়গায় তার ছিঁড়ে পরিষেবা ব্যাহত হয়। মোট ১০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়, জানিয়েছে রেল। রেলের দাবি, সকাল সাতটা নাগাদ সব জায়গাতেই পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও যাত্রীদের বক্তব্য, ভোরের ঘটনার জের চলেছে দিনভরই। দেরিতে ট্রেন চলার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তাঁদের।
এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। অনেক জায়গাতেই দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ অমিল ছিল। বেলা বাড়তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।