কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই করোনা মোকাবিলার একমাত্র উপায়। তবে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান দিতে মুদির দোকানগুলি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। দোকানের বাইরে প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর মানুষের দাঁড়ানোর জন্য গণ্ডি কাটা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সেই গণ্ডির তোয়াক্কা না করেই রীতিমতো গা ঘেঁষে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে দোকানের বাইরে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আদর্শ উপায়। তাই সংক্রমণ এড়াতেই দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের কিছু বড় ব্যবসায়ী। তবে স্থানীয় মানুষ তাঁদের মাসকাবারি কিংবা খুচরো সামগ্রীর বরাত দিতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। নিউ আলিপুর এবং ঠাকুরপুকুরের কদমতলা এলাকায় তিন-চারটি মুদির দোকান ইতিমধ্যেই ‘কন্ট্যাক্টলেস ডেলিভারি’ চালু করেছে। সেই সমস্ত দোকানের মালিকদের কথায় জানা গিয়েছে, দোকানের বাইরে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর লিখে দেওয়া হচ্ছে। সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ক্রেতারা তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর নাম এবং পরিমাণ লিখে পাঠিয়ে দিলে তা পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের দোরগোড়ায়।
ঠাকুরপুকুরের কদমতলা এলাকার একটি মুদি দোকানও এই পদ্ধতিতে ব্যবসা চালাচ্ছে। দোকানের মালিক জানিয়েছেন, দোকানের যে সব কর্মী ক্রেতার বাড়িতে সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁদের গ্লাভস, মাস্ক এবং সঙ্গে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। দোকান থেকে সামগ্রী নিয়ে বের হওয়ার সময় স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে, আবার গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে তাকে দেওয়ার আগে আরেকবার সেগুলিতে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করে সেই সব প্রয়োজনীয় সামগ্রী গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন ব্যবসায়ীরা। এমনকী, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্য নিচ্ছেন তাঁরা। সামগ্রী সরবরাহকারীদের দোকান থেকেই দেওয়া হচ্ছে মোবাইলঅ্যাপ নির্ভর আর্থিক লেনদেনের উপযোগী একটি বিশেষ কোড। ক্রেতা তাঁর মোবাইলের নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে বিলের টাকা অর্থ ওই কোড মারফত প্রদান করতে পারবেন। তবে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আক্ষরিক অর্থেই সম্পূর্ণ ‘কন্ট্যাক্টলেস ডেলিভারি’কে অত্যন্ত আবশ্যক বলে মনে করছেন শহরের স্বল্পসংখ্যক সচেতন ব্যবসায়ী তথা নাগরিক।