সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
কীভাবে সামনে এল এই তথ্য? যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মা বলেন, দুর্ঘটনার পর জাগুয়ারের এয়ারব্যাগ খুলে যায়। স্টিয়ারিংয়ে থাকলে তাতে আরসালানেরই আঘাত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে এই ধরনের কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। সেখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। বোঝা যায়, গাড়িটি তিনি চালাচ্ছিলেন না। এরপর যে রাস্তা দিয়ে ওই গাড়ি গিয়েছিল, সেই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ৪৫টি ছবি হাতে আসে অফিসারদের। আরসালানের বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজও জোগাড় করা হয়। তাতে দেখা যায়, ঘটনার দিন রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরচ্ছেন রাঘিব। রাস্তায় সিসিটিভির ফুটেজে গাড়ির মধ্যে যে ব্যক্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে আরসালানের বাড়ি থেকে বেরনো যুবকের ছবি মিলে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই গাড়ি চালু করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য, বিশেষত মোবাইল নম্বর ইনপুট হিসেবে দিতে হয়। জাগুয়ারের ডেটা রেকর্ডার থেকেও দেখা যায়, শেষবার গাড়িটি চালু করার সময় রাঘিব পারভেজের মোবাইল নম্বরটিই ব্যবহার করা হয়েছিল। হোয়াটস অ্যাপে ওই নম্বরটি দিয়ে দেখা যায়, প্রোফাইলে তাঁরই ছবি রয়েছে। সিসিটিভি, গাড়ির ডেটা রেকর্ডারে গাড়িতে থাকাকালীন ছবি এবং বাড়ির সিসিটিভি’র ছবির সঙ্গে সব মিলে যাওয়ার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মুরলীধর বলেন, ঘটনার পর রাঘিব সল্টলেকে লুকিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালের বিমানে তিনি দুবাইতে পালিয়ে যান। পালাতে সাহায্য করেন তাঁর মামা। দুর্ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন, এটি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে বিদেশ থেকে নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। সেখান থেকে ফিরতেই রাঘিব ও তাঁর মামাকে গ্রেপ্তার করা হয়।