দক্ষিণবঙ্গ

শীতের মরশুমে গনগনিতে ব্যাপক ভিড়, চারদিকে পড়ে আবর্জনা, ক্ষুব্ধ পর্যটকরা

রাজদীপ গোস্বামী, গনগনি: শীতের মরশুমে গড়বেতা-১ ব্লকের গনগনিতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ‘বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ দেখতে আসছেন। কিন্তু এই পর্যটন কেন্দ্রেরই একেবারে বেহাল দশা। চারদিকে ছড়িয়ে খাবারের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস, এমনকী মদের বোতলও। পড়ে আছে খাবারের উচ্ছিষ্টও। সেসব পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পর্যটকদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা ঩নেই। এতে বেজায় ক্ষুব্ধ ভিনজেলা থেকে আসা পর্যটকরা। পর্যটকরা জানান, মূল রাস্তা থেকে গনগনি ঢোকার রাস্তার অবস্থাও বেহাল। এছাড়া পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। তাই সন্ধ্যা নেমে এলেই নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। এই দূষণ ছড়াচ্ছে শিলাবতী নদীতে। এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁরা বলেন, এত পর্যটক এলেও বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সাজিয়ে তোলার কোনও উদ্যোগে নেওয়া হয়নি। দিনেদিনে আবর্জনা বাড়ছে। নদীর ধারে কোনও ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়নি। রবিবার গনগনি বেড়াতে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক চন্দন সেন। তিনি বলেন, প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখতে এসেছি। নদীর ধারে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ। কিন্তু আবর্জনায় ভর্তি। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। তবেই তো পর্যটক বাড়বে। এছাড়া সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গনগনির এই খাদ তৈরি নিয়ে নানা ইতিহাস রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, পাণ্ডবরা নদীতীরের এই গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে আশ্রয় নিয়েছিল। সেইসময় জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বকাসুর নামের এক রাক্ষস নানাভাবে তাণ্ডবলীলা চালাত। সেইসময় মাতা কুন্তীর নির্দেশ অনুসারে বকাসুরের সামনে হাজির হয় ভীম। ভীম আর বকাসুরের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। আর এই লড়াইয়ের জেরেই শিলাবতীর তীরে এমন গভীর খাদ তৈরি হয়েছে। এই এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। চুয়াড়-লায়েক বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক অচল সিংহ এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু ঐতিহাসিক এই পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কোনও কাজই করেননি। এর ফলে জঞ্জালে ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গনগনির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে শিলাবতী বা শিলাই নদী। নদীর এক পাশে রয়েছে গিরিখাত বা ক্যানিয়ন। যার সঙ্গে আমেরিকার অ্যারিজোনায় কলোরাডো নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের তুলনা টানেন অনেকে। গনগনিকে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বলা হয়। কিন্তু তা দেখতে এসেই হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা।
এক পর্যটক বলেন, ছোট রাস্তা সংস্কার করতে পারেনি প্রশাসন। এত বড় পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের দামও অনেকটাই বেশি। এছাড়া সকলের পক্ষে জল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া শৌচালয়ও অপরিষ্কার। এর ফলে বিশেষ করে মহিলাদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। স্থানীয় বিধায়ক উত্তরা সিং হাজরা বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে বলব সমস্যার সমাধান করাতে। আমিও দেখছি কী করা যায়।
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৮০ টাকা৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৬ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.০০ টাকা৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা