দক্ষিণবঙ্গ

জয়রামবাটিতে ঐতিহ্যমণ্ডিত জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভক্তের ঢল

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: জয়রামবাটিতে ঐতিহ্যমণ্ডিত জগদ্ধাত্রী পুজোয় রবিবার ভক্তদের ঢল নামে। এদিন প্রথা মেনে ভোর ৫টা ৩০মিনিট নাগাদ মাতৃমন্দিরের নাটমন্দিরে মঙ্গলাচারের পর পুজো শুরু হয়। মা সারদার মাতা শ্যামাসুন্দরীদেবী প্রতিষ্ঠিত পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই ভক্তদের আলাদা উন্মদনা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এদিন মাতৃমন্দিরে ভিড় জমান। ছুটি থাকায় শনিবার বিকেলে অনেকেই জয়রামবাটিতে চলে এসেছিলেন। 
মাতৃমন্দিরের মুখপাত্র স্বামী পররূপানন্দ বলেন, পুরনো ঐতিহ্য মেনে মাতৃমন্দিরে জগদ্ধাত্রী পুজো করা হয়। পুজো উপলক্ষ্যে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এদিন প্রায় ১৮হাজার ভক্তকে প্রসাদ বিলি করা হয়। এদিন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী গৌতমানন্দজি একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। 
মাতৃমন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৭৭ সালের ১৪ নভেম্বর জয়রামবাটিতে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। পুজো প্রতিষ্ঠার বেশ লম্বা কাহিনি রয়েছে।  কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে গ্রামে একটি মাত্র পারিবারিক কালীপুজো হতো। প্রতিবছর কালীপুজোয় সারদা মায়ের মা শ্যামাসুন্দরীদেবী নৈবেদ্য হিসেবে চাল দিতেন। একবার পুজোর সময় জনৈক্য এক ব্যক্তি গ্রাম্য সঙ্কীর্ণতাবশত তাঁর হাত থেকে চাল নিতে অস্বীকার করেন। এতে শামাসুন্দরীদেবী মনে কষ্ট পান। রাতে কাঁদতে কাঁদতে মা কালীর উদ্দেশে বলেন, সারা বছর ধরে সংগ্রহ করা চাল তোমার নামে রাখা হয়েছে। এবার ওই চালের কী হবে? একসময় ক্লান্ত হয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরবেলায় নারী কণ্ঠের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দেখেন, তাঁর সামনে রক্তবর্ণা এক দেবী বসে রয়েছেন। তিনি বলেন, কালীর নামে তৈরি করা চাল তিনি গ্রহণ করবেন। তিনি কে? একথা জিজ্ঞাসার উত্তরে ওই দেবী বলেন, ‘আমি জগদম্বা। জগদ্ধাত্রী রূপে তোমার পুজো গ্রহণ করব।’ 
সকালে শ্যামাসুন্দরীদেবী তাঁর কন্যা মা সারদাকে ঘটনার কথা বলেন। মা সারদার দিদিমা সব শুনে জগদ্ধাত্রী পুজো করার পরামর্শ দেন। সেইমতো শ্যামাসুন্দরীদেবী পুজোর আয়োজন করেন। মা কালীর জন্য রাখা চাল পুজোয় নৈবেদ্য দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, নিমন্ত্রিতদের প্রসাদ বিলির জন্য বৃষ্টিতে ভেজা ধান মায়ের কৃপায় দ্রুত শুকিয়ে যায়। ওই চাল দিয়ে ভোগ রান্না হয়। এভাবেই মাতৃধামে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন হয়। 
পরের বছর শ্যামাসুন্দরীদেবী আর্থিক কারণে পুজো না করার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু, স্বয়ং জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর তিনি তা বন্ধ করতে পারেননি। ১২ বছর পর একই কারণে মা সারদা পুজো বন্ধ করার কথা ভাবছিলেন। সেবারও একইভাবে স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিবছর একই রীতি নীতি মেনে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে আসছে। পুজোর খরচ চালানোর জন্য মা সারদা পরবর্তীকালে দশ বিঘা জমি ঠাকুরের নামে করে দেন। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন অধীনস্থ মাতৃমন্দির কর্তৃপক্ষ পুজো পরিচালনা করে।  মা সারদাকে স্বপ্নাদেশ দেওয়ার সময় জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে জয়া ও বিজয়া ছিলেন। তাই মণ্ডপে দেবীর পাশে তাঁদেরও মূর্তি স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে তাঁরাও পূজিত হন। 
25d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৮ টাকা৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৯ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৭.২৫ টাকা৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা