দক্ষিণবঙ্গ

টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন জেলার নানা এলাকা, উদ্বেগ বাড়ছে চাষিদের

নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: টানা দু’দিন লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন নদীয়া জেলা। এতে কৃষ্ণনগর শহর ও শহরতলিতে জল জমে যায়। শুক্রবার সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার সারাদিন সেই বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সারাদিন নদীয়া জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৪ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নাকাশিপাড়া ব্লকে। সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় একশো মিলিমিটার। তার জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জল জমতে দেখা গিয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড টানা বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন। তবে ধানের জমিতে জল জমে যাওয়ার কারণে  পোকা ধরার আশঙ্কা। এই নিয়ে কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা চাষিদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। বৃষ্টির জল যাতে জমিতে দাঁড়িয়ে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে চাষিদের। কৃষ্ণনগর শহরের রাজার দীঘির পাশের রাস্তায় সামান্য ধস নামতেও দেখা গিয়েছে। তবে এই বৃষ্টির কারণে চিন্তায় পড়েছেন পুজো কমিটির লোকজন। লাগাতার বৃষ্টির কারণে পুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। 
নদীয়া জেলার কৃষিদপ্তরের উপ কৃষি অধিকর্তা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এখন দেখছি যাতে জমিতে জল না দাঁড়ায়। পাশাপাশি ধানে যাতে পোকা না লাগে, সেইদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন যদি টানা এইভাবে বৃষ্টি হয় তাহলে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। চাষিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’ কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, কৃষ্ণনগর-২, চাপড়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে জল জমে গিয়েছে। অন্যদিকে, এই দু’দিন কখনও হাল্কা আবার কখনও ভারী বৃষ্টি হয়েছে করিমপুরে। ভ্যাপসা গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি সুবিধে হয়েছে চাষিদের। এলাকা চাষি উত্তম মণ্ডল বলেন, এই বৃষ্টিতে মাঠের কলা চাষ থেকে শুরু করে পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন রকম সব্জি চাষ উপকৃত হল। এবছরের প্রথম থেকেই বৃষ্টির অভাবে ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি সেচের জল দিতে অনেক বেশি খরচ হয়েছে চাষিদের। এই বৃষ্টিতে গর্তে জল না জমলেও জমির ফসলের জন্য ভালো হয়েছে। আর এক চাষি সাধন প্রামাণিক বলেন, মাসখানেক আগে বৃষ্টির খুব দরকার ছিল পাট ঝাঁক দেওয়ার জন্য। সেই সময় বৃষ্টির অভাব থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমাদের। এখন বৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য চাষের ভালো হল। 
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কুমারপুর, বাবলাবন, পুটিখালি, ধরমপুর, নিধিপোতা, আদিত্যপুর, গোয়াড়ীপাড়া, মালিঘাটা, মথুরাপুর, বানপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠে জল দাঁড়িয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে নিচু জমিতে থাকা করলা, ঝিঙে, পটল, উচ্ছে, বেগুন, লঙ্কা চাষ নিয়ে  সমস্যার মধ্যে পড়েছেন চাষিরা। জমি থেকে জল বের করতে না পারলে সব্জির ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। এছাড়া কুমারপুর, নিধিপোতা, আদিত্যপুর, ধরমপুরের মাঠের গোড়ায় জল দাঁড়ানোয় গাঁদা, রজনীগন্ধা ফুল চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় বাড়ছে পোকা মাকড়ের উপদ্রবও।
বাদকুল্লার পুজো কমিটির সদস্য জিতেন পাল বলে, ‘বৃষ্টির জন্য প্যান্ডেলের কাজে গতি কমেছে। আমরা বৃষ্টি থামলে আবার কাজ করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুরোদমে কাজ করা হবে।’ মেঘলা আকাশ নিয়ে চিন্তিত করিমপুরের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী। বলেন, এই সময় লাগাতার বৃষ্টি হলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে। -নিজস্ব চিত্র
4d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৭ টাকা৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৫ টাকা১১২.২০ টাকা
ইউরো৯১.৫৭ টাকা৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা