দক্ষিণবঙ্গ

জল ছাড়া অব্যাহত পাঞ্চেত, মাইথনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ভাসছে ঘরবাড়ি। ভাসছে ধানের জমি। বন্যার গ্রাসে দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশ। তারপরও জলাধার থেকে লক্ষ লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছাড়া অব্যাহত রেখেছে ডিভিসি। গত দু’দিনে দামোদর অববাহিকাজুড়ে কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। তা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি কানে না তুলে পাঞ্চেত থেকে বুধবার দিনভর লক্ষাধিক কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। যদিও মাইথন থেকে জল ছাড়া কিছুটা কমানো হয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। ডিভিসির অবশ্য যুক্তি, তিনুঘাট, কোনার জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল পাঞ্চেতে জমা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে জল ছাড়তে হচ্ছে। 
মুখ্যমন্ত্রী এদিনই ডিভিসিকে তোপ দেগে বলেছেন, জলাধারে ৭০-৮০ শতাংশ ভরলেই কেন অল্প করে জল ছাড়া হয় না? জবাবে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, বোরো চাষের জন্য জল ধরে রাখতে গিয়েই বাড়তি জল জলাধারে রাখতে হয়েছিল। অন্যদিকে, ডিভিসি জল ছাড়া অব্যাহত রাখায় জল ছাড়া কমাতে পারছে না দুর্গাপুর ব্যারাজ। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এদিন বিকেলেও ২ লক্ষ ৩৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। ফলে, বন্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল। 
দামোদর অববাহিকাকে ছ’টি সাব বেসিনে বিভক্ত। উপরের দিকে বরাকর ওয়েস্ট সাব বেসিনে মঙ্গলবার সকাল ছ’টা থেকে এদিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত মাত্র ০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। হাজারিবাগ, তিলাইয়া, গোনডা সহ ঝাড়খণ্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। বরাকর ইস্ট সাব বেসিনে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। এই সাব বেসিন মূলত বাংলা ঘেঁষা। ঝাড়খণ্ডের মা‌‌ইথন, জামতাড়া, চিরকুণ্ডা, গোবিন্দপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। দামোদর ওয়েস্ট সাব বেসিনেও কোনও বৃষ্টিপাত নেই। যারমধ্যে তেনুঘাট, কোনার এই এলাকাগুলি রয়েছে। দামোদর ইস্ট সাব বেসিনে ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ০.১ মিলিমিটার গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে। লোয়ার ভ্যালি ওয়েস্ট ও লোয়ার ভ্যালি সাউথ সাব বেসিন বাংলার মধ্যে রয়েছে। সেখানেও কোনও বৃষ্টিপাত নেই। মূলত প্রথম চারটি সাব বেসিনের জলই মাইথন ও পাঞ্চেতে আসে। অথচ, এইসব বেসিন এলাকার মধ্যে কোনও বৃষ্টিপাতই নেই। তা সত্বেও সকালের দিকে এক লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক হারে এবং বেলা বাড়ার পর ১ লক্ষ ৪০ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েই চলেছে দু’টি বাঁধ। তারমধ্যে প্রথম দিকে মাইথন ৪০ হাজার কিউসেক হারে ছাড়লেও এখন ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে। পাঞ্চেত প্রথমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক হারে ছাড়ছিল। পরে তা কমিয়ে এক লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে ছাড়ছে।
স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী এই দু’টি বাঁধ ঝাড়খণ্ডের জন্য আশীর্বাদ হলেও বাংলার জন্য অভিশাপ? বন্যার সময় যেখানে জল ধরে রাখার কথা বাঁধগুলির, সেখানে বৃষ্টিপাত না হওয়া সত্বেও জল ছেড়ে বাংলাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টিপাত। অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, পলিতে মজে যাওয়া মাইথন ও পাঞ্চেত এখন শুধুই ঘুরতে যাওয়ার জায়গা। বন্যা নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকাই নেই।  ছবি: উত্তম সামন্ত।
12h 12m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৭ টাকা৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৫ টাকা১১২.২০ টাকা
ইউরো৯১.৫৭ টাকা৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা