দক্ষিণবঙ্গ

ফরাক্কায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল

নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরাক্কা: অতিবৃষ্টির জেরে ফরাক্কা ব্যারেজে আছড়ে পড়েছে জলের স্রোত। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্যারেজের জলস্তর। লাগাতার জল ছাড়া হচ্ছে ব্যারেজ দিয়ে। রবিবার থেকে ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। দৈনিক গড়ে প্রায় ১২ লক্ষ কিউসেক জল এসে পড়ছে মুর্শিদাবাদে। এর ফলে ভাগীরথী ও পদ্মা নদীতে ব্যাপক জলস্তর বেড়েছে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির জেরে ফরাক্কা ব্যারেজে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার জলের পরিমাণ বাড়ছিল। যার জেরে মালদহ জেলার বেশকিছু অংশ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। রবিবার দুপুরে ফরাক্কা ব্যারেজে ৭৭ মিটারের বেশি জল রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। জলস্তর ঠিক রাখার জন্য বিপদ বুঝে জল ছাড়া বাড়িয়েছে তারা। রবিবার ১১.৭৭ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার জেরে মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু নদীর জলস্তর হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। পদ্মা নদী দিয়েও ব্যাপক পরিমাণ জল মুর্শিদাবাদ হয়ে ঢুকছে বাংলাদেশে। এর ফলে সূতি, সামশেরগঞ্জ ও লালগোলার নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। 
ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপাণ্ডে বলেন, ব্যারেজে এখন ৭৭.৭৫ মিটার জলস্তর রয়েছে। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার ব্যারেজ দিয়ে ১১.৭৭ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। 
পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড জেলায় বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হতেই ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপশি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির জেরে নদীগুলিতে স্বাভাবিকভাবে জলস্তর বেড়েছে। ব্যারেজের জলস্তর অনেকটা বৃদ্ধি পেতেই শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের সব গেট। যে পরিমাণ জল আসছে ব্যারেজে, সেই পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নদীর জলের স্তর বাড়তে পারে। 
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, দৈনিক ১১ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ছে। গত চার-পাঁচদিন থেকে লাগাতার জল ছাড়ছে। তা না হলে মালদহ জেলা ডুবে যাবে। মালদহের অনেক জায়গা জলের তলায় চলে গিয়েছে। ব্যারেজ দিয়ে জল সারা বছরই ছাড়তে হয়। এখন বৃষ্টি বেশি হওয়ায় জল যা আসছে, সবটাই ছাড়তে হচ্ছে ব্যারেজকে। অন্যান্য সময় কয়েকটি গেট বন্ধ রাখে। তখন ফরাক্কার জলের লেয়ার বাড়তে থাকে। বেশ কিছুটা জল ফিডার ক্যানেল হয়ে হুগলি নদীতে ঢোকে। তবে ফরাক্কা ব্যারেজ ছাড়া এখন জেলার কোনও নদীর জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছয়নি। আমরা পরিস্থিতির দিকে সবসময় নজর রাখছি।
ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে বেরিয়ে এসে সূতির অরঙ্গাবাদে ভাগ হয়েছে ভাগীরথী নদী। একদিকে পদ্মা ও অপরদিকে ভাগীরথী। বাংলদেশের পদ্মায় জলের স্রোত আছড়ে পড়ছে। নিমতিতার গঙ্গাও অনেকটাই বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তবে জঙ্গিপুরের ভাগীরথীর জল বিপদসীমার অনেকটাই নীচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে লালগোলা দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মার দিকে নজর রাখতে হচ্ছে। সেখানেও প্রতিদিন প্রচুর জল ঢুকছে।
নিমতিতার বাসিন্দা রাজু শেখ বলেন, আমার বাড়ির ৩০০ মিটার দূরে গঙ্গা। গত তিনদিন ধরে জল বাড়তেই আছে। চারদিকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, এদিকে ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে প্রচুর জল ছাড়ার ফলে এমন হচ্ছে। গত কয়েকদিনে প্রায় ১০ ফুট জল বেড়ে গিয়েছে নদীতে। জানি না কপালে কী লেখা আছে। যদি এভাবে লাগাতার জল বাড়তে থাকে তাহলে কিছুদিনের মধ্যে বন্যা হয়ে যাবে।
26d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা