দক্ষিণবঙ্গ

স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় মানছেন না শিক্ষকরা, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় শিক্ষকদের একাংশ সরকারি সময় মেনে স্কুলে যাতায়াত করছে না। খোদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। এব্যাপারে সম্প্রতি তিনি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময় মেনে বিদ্যালয়ে যাতায়াত না করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই নির্দেশিকা জেলার স্কুলগুলিতে তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন। জেলা  বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পীযূষকান্তি বেরা বলেন, বাঁকুড়ায় জুনিয়র হাই, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ৮২৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে প্রায় ১১হাজার জন কর্মরত রয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল 
সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে থাকার কথা। বেশিরভাগ ক্লাস বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। ফলে নির্দিষ্ট বা জরুরি কারণ ছাড়া ওই সময়ের আগে কোনওভাবেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুল ত্যাগ করতে পারেন না। কিন্তু, বাস্তবে উল্টো চিত্র চোখে পড়ছে। অনেকেই ১১টার পর স্কুলে ঢুকছেন। কেউ কেউ আবার ৩টে বাজলেই বিদ্যালয় ছাড়ছেন। এব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল। আমি নিজেও একাধিক স্কুল পরিদর্শন করে কমবেশি অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পেয়েছি। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে অনিয়মিত যাতায়াতের বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। এটা উদ্বেগের বিষয়। 
তিনি আরও বলেন, সময় মেনে স্কুলে যাতায়াতের ব্যাপারে রাজ্য সরকার তথা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আগে থেকেই একটি নির্দেশিকা ছিল। আমি সেই নির্দেশিকা নতুন করে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পাঠিয়েছি। নির্দেশ না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে অনিয়মিত হাজিরার অভিযোগ উঠেছে। ‘আসি যাই মাইনে পাই’ গোছের লোকজনের জন্য নিষ্ঠাবান শিক্ষকদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। এনিয়ে তাঁরা আপত্তিও জানান। তবে ফাঁকিবাজদের অনেকেই রাজনৈতিক নেতাদের ছাতার তলায় থাকার কারণে তাঁদের আপত্তি ধোপে টেকে না। সমস্যা মেটাতে এর আগে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের দৈনিক হাজিরা নিয়ে ‘এসএমএস’ ব্যবস্থা চালু করা ছিল। স্কুলে কতজন উপস্থিত হয়েছেন তা দিনে দু’বার প্রধান শিক্ষকদের জানাতে হতো। সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও এবং এলাকার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে ওই তথ্য পাঠাতে হতো। অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার এক আধিকারিক সামগ্রিক নজরদারি চালাতেন। যে কোনওদিন প্রশাসন বা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা স্কুলে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করতেন। তখন প্রধান শিক্ষকের পাঠানো তথ্য মিলিয়ে দেখা হতো। ফলে প্রধান শিক্ষকরাও সঠিক তথ্য দিতে বাধ্য হতেন। পরে অবশ্য ওই ব্যবস্থা উঠে যায়। ফলে ‘বেপরোয়া’ শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ময়দানে নামতে হয়েছে।  
27d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা