দক্ষিণবঙ্গ

হাজার পার ম্যালেরিয়া, সেঞ্চুরি হাঁকাল ডেঙ্গু, মশা মারার কর্মী নেই পুরুলিয়া জেলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: হাজারের গণ্ডি পার করেছে ম্যালেরিয়া। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে ডেঙ্গুও। অথচ, মশা নিধনে আজও কর্মী নিয়োগ হল না জেলায়। কেন? এক্ষেত্রেও দায়ী সেই নেতাদের রেষারেষি! মে মাসের মধ্যে যেখানে কর্মী নিয়োগ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে আগস্ট মাস শেষ হতে চললেও কর্মী নিয়োগ হয়নি। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মরশুম শেষ হলে কি কর্মী নিয়োগ হবে? এখন সেই প্রশ্নই জেলাজুড়ে উঠতে শুরু করেছে। 
পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, এই মরশুমে জেলায় এখনও পর্যন্ত ১০০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলার ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৬৮জন। চলতি মাসের ২২আগস্ট পর্যন্ত ৩৩৯জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই জ্বরের উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। জেলার বাঘমুণ্ডি, বলরামপুর, বান্দোয়ানে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। সেইসঙ্গে জেলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবারই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে ডেঙ্গু। যেভাবে জেলাজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যদপ্তরও। 
পুরুলিয়া জেলায় ম্যালেরিয়ার বারবাড়ন্ত থাকলেও গত কয়েক বছরে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সেইভাবে ‘মাত্রা’ ছাড়ায়নি। ২০১৮ সালেই একমাত্র জেলায় ব্যাপকভাবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাপিয়ে যায়। তারপর থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণেই। কিন্তু, এবছর ফের ডেঙ্গু পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত  ৩১জুলাই পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১। চলতি মাসের মধ্যেই তা সেঞ্চুরি পার করেছে। গত ২২দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯জন। মোট ১০০জন আক্রান্তের মধ্যে বলরামপুর ব্লকেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭জন। এবছর অবশ্য শহরে নয়, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি গ্রামীণ এলাকাতেই। পুরুলিয়া শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬জন, ঝলদা ও রঘুনাথপুর পুরসভায় মাত্র একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও তাই। শহরের তুলনায় জঙ্গল এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোধে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্তের খবর পেলেই স্বাস্থ্যকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে জ্বর থাকলে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যেখানে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেইসব এলাকায় মশারি বিলি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা ২০হাজার মশারি বিলি করেছি। 
তবে, গ্রামাঞ্চলে কেন ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি? স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, মশা নিধনে জেলায় অন্তত শতাধিক কর্মী নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও তা আজও হয়নি। গত ১৪আগস্ট জেলাশাসকের দপ্তরে এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়। যাতে দ্রুত কর্মী নিয়োগ হয়, সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতদিন কেন কর্মী নিয়োগ হয়নি? অভিযোগ, একশ্রেণির নেতাদের কারণেই কর্মী নিয়োগ হয়নি। সব নেতাই চায় কাছের লোকেদের নিয়োগ করতে! ফলে ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে কর্মী নিয়োগ। বেড়েই যাচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব। এনিয়ে বৈঠকেও তোলপাড় হয়। এক আধিকারিক মানছেন, স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে মশা মারার তেল পাঠিয়ে স্প্রে করার লোকের অভাবে তা হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, এখনও কর্মী নিয়োগ না হলে কবে হবে? ওই আধিকারিকের উত্তর, শীঘ্রই নিয়োগ হবে। কর্মী নিয়োগ, তারপর তাঁদের ট্রেনিং দেওয়া, সবমিলিয়ে অন্তত এখনও এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় প্রয়োজন। সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন থাকছে, ততদিন কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে না তো?
29d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা