দক্ষিণবঙ্গ

পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার তিনশোর বেশি ডিজিটাল রেশন কার্ড, চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: রানাঘাটে ফের উদ্ধার হল ডিজিটাল রেশন কার্ড। গত বছরের মার্চ মাসে রানাঘাটের মহকুমা খাদ্যদপ্তরের অফিসের সামনে জঞ্জালের স্তূপ থেকে শতাধিক ডিজিটাল রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছিল। শনিবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডেরই অন্য একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে তিন শতাধিক রেশন কার্ড উদ্ধার হয়। ডিজিটাল রেশন কার্ডের গ্রাহকদের অধিকাংশই শান্তিপুর ও রানাঘাটের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কেন মহকুমা খাদ্য দপ্তরের আশেপাশের এলাকা থেকেই বারবার রেশন কার্ড উদ্ধার হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। 
রানাঘাট শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা শ্মশানের পাশেই রয়েছে পরিত্যক্ত জায়গাটি। পাশে পুরনো সামগ্রী কেনা বেচার একটি দোকান আছে। জঞ্জাল ও নোংরা আবর্জনায় ভরা পরিত্যক্ত জায়গাটি এদিন সকালে পরিষ্কার করছিলেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা। সেখানেই বেশ কয়েকটি বস্তার ভিতর থেকে রেশন কার্ডগুলি উদ্ধার করেন সাফাই কর্মীরা। বস্তায় প্রায় সাড়ে তিনশো কার্ড ছিল। কার্ডগুলি শান্তিপুর শহর ও আশেপাশের গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের। রানাঘাটেরও বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার গ্রাহকদের রেশন কার্ড রয়েছে। 
উদ্ধার হওয়া কার্ডগুলির মধ্যে কোনওটি ইস্যু হয়েছিল ২০১৫ সালে, আবার কোনওটি ২০১৮ সালে। পুরসভার এক সাফাই কর্মী বলেন, পাশেই ভাঙাচোরা সামগ্রী কেনা বেচার দোকান রয়েছে। তাই হয়তো সেখানেই বিক্রির জন্য কেউ কার্ডগুলি বস্তায় ভরে নিয়ে এসেছিল। পরে সেগুলি অপ্রয়োজনীয় জেনে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিন দেব, প্রভাত রায় বলেন, কীভাবে এতগুলি ডিজিটাল রেশন কার্ড এখানে এল জানি না। তবে এগুলি যে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বেশ কয়েকটি ডিজিটাল রেশন কার্ডের নম্বর নিয়ে অনলাইনে চেক করলে দেখা যায়, সেগুলি এখনও সচল রয়েছে।
রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডেই মহকুমা খাদ্যদপ্তরের অফিস রয়েছে। পাশেই রয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত, রানাঘাট থানা সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিস। বারবার কেন খাদ্য দপ্তরের অফিসের আশপাশের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে কার্ডগুলি উদ্ধার হচ্ছে, সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট মহকুমা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক রাজদীপ মেহতা বলেন, দপ্তরের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কার্ডগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু এখন রেশন পরিষেবা সম্পূর্ণ ডিজিটাল, তাই সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া কোনওভাবেই কার্ডগুলি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। 
বাতিল কার্ড এভাবে জঞ্জালে পড়ে থাকতে পারে কী? এই প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে কোথাও বাতিল কার্ড ফেলে রাখার সরকারি নিয়ম নেই। কার্ড যদি বাতিল হয়, তা নষ্ট করার একটা পদ্ধতি আছে। এভাবে ফেলা যায় না। তবে যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। - নিজস্ব চিত্র
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৫৭ টাকা৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৩.৯০ টাকা১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো৮৮.১৭ টাকা৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা