দেশ

‘ভয় দেখাবেন না...’, মোদিকে হুঁশিয়ারি রাহুলের, বাগযুদ্ধে উত্তপ্ত সংসদ 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘এক আকেলা সব পে ভারী পড় রাহা হ্যায়।’ পুরনো সংসদ ভবনে লোকসভার কক্ষে দাঁড়িয়ে অতি দম্ভে, নিজের বুক চাপড়ে একথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার তাঁর সেই কথাই যেন ফিরে এল ব্যুমেরাং হয়ে। নতুন সংসদ ভবনে অষ্টাদশ লোকসভায় সোমবার দেশ দেখল নজিরবিহীন দৃশ্য। ‘একা’ রাহুল গান্ধীর মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ময়দানে নামতে হল প্রায় গোটা মন্ত্রিসভাকে। নীতির দৈন্য থেকে হিন্দুত্ব, নিট কিংবা অগ্নিপথ প্রকল্পের ব্যর্থতা... সমালোচনার শূলে চড়িয়ে সরকার পক্ষকে ছারখার করে দিলেন বিরোধী দলনেতা। গোড়াতেই ভগবান শিবের অভয় ভঙ্গির ছবি দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মোদিকে। বললেন, ‘ভয় দেখাবেন না। ভয় পাবেনও না। ডরো মৎ, ডরাও মৎ। এটাই হিন্দু, মুসলমান, শিখ, ইসাই, গুরু নানকের বার্তা। আমি সেই পথেই চলি। অহিংসা, অভয় আর সত্যই আমার পথ। আর উল্টো পথে চলে বিজেপি।’ এহেন আগ্রাসী বিরোধী পক্ষের মোকাবিলায় স্বয়ং মোদিকে উঠে দাঁড়াতে হল দু’বার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাঁচবার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দু’বার। বাগযুদ্ধে উত্তাল হল লোকসভা। মোদির মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুলের এই আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ‘ভিজিটরস গ্যালারি’তে বসে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 
রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের চর্চা। আর সেই আলোচনায় বিরোধী বেঞ্চের প্রথম বক্তা হিসেবে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক ছক্কা হাঁকালেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তুললেই বিজেপি বেঞ্চে যেন আগুন ধরে গেল। রাহুল বললেন, ‘বিজেপি হিন্দু হিন্দু বলে প্রচার করে। কিন্তু বাস্তবে হিংসা ছড়ায়।’ একথা শুনেই উঠে দাঁড়ান মোদি। বলেন, ‘অত্যন্ত গুরুতর অপবাদ। পুরো হিন্দু সমাজ হিংসা ছড়ায়—এভাবে বলা ঠিক নয়।’ মোদির এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি স্লোগান তোলে, রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। বিরোধী দলনেতা অবশ্য থামেননি। বলেন, ‘বিজেপিকে কেউ হিন্দু ধর্মের ঠেকা দেয়নি। বিজেপি একাই হিন্দু নয়। আমরা সবাই হিন্দু। আর বিরোধীরা কেউ শত্রু নয়। বিরোধী শক্তি।’ মোদিকে রাহুলের আক্রমণ, ‘শুধু দেশ নয়, প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের মধ্যেও ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছেন। সবাইকে ভয় দেখান।’ ফের উঠে দাঁড়ান মোদি। কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘গণতন্ত্র ও সংবিধান আমাকে শিখিয়েছে যে, বিরোধী দলনেতাকে সিরিয়াসলি দেখা উচিত।’ সংখ্যার ভারে এবার বিরোধীরাও শক্তিশালী। তাই এমন কটাক্ষ দমাতে পারল না তাদের। সরকার পক্ষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলোধোনা শুরু করলেন রাহুল। রামমন্দির থেকে মণিপুর, বেকারত্ব থেকে অগ্নিবীর, নোট বাতিল থেকে জিএসটি, এমনকী তাঁকে ইডির ৫৫ ঘণ্টা জেরার মতো নানা ইস্যু উঠে এল ভাষণে। 
লোকসভায় যখন রাহুলের সঙ্গে মোদি ব্রিগেডের বাগযুদ্ধ চলছে, রাজ্যসভাও তখন হেঁটেছে এক পথে। সেখানে বিরোধীদের আগ্রাসনের প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। একাধারে তিনি অধ্যক্ষ জগদীপ ধনকারকে অনুরোধ করছেন, ‘আশা করি আগামী সাড়ে তিন বছর আপনি সত্যের সঙ্গে থাকবেন। বিরোধীদেরও বলার সুযোগ দেবেন।’ আর অন্যদিকে তোপ দাগছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অহংকারের জবাব দিয়েছে ভারত। অতিদর্পকে হারিয়ে দিয়েছে। সময়ের চাকা ঘুরতে বেশি সময় লাগে না। মোদিজি গত ১০ বছর ধরে বলতেন, ভারতের উন্নতির অন্তরায় জোট সরকার। আগে চিৎকার করে বলা হত মোদি সরকার, মোদি সরকার। আজ কোথায় মোদি সরকার? আপনারাই বলছেন, এনডিএ সরকার।’ মোদিকে তাঁর সরাসরি নিশানা, ‘দেশে এভাবে বিদ্বেষ-ঘৃণা ছড়ানোয় মনোযোগী প্রধানমন্ত্রী দেশে কখনও আসেননি।’ পরিস্থিতির উত্তাপ কমাতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকার বলেন, ‘খাড়্গেজি, আপনি বাজপেয়িজি সম্পর্কে কিছু বলুন।’ খাড়্গে উত্তরে বলেন, ‘বাজপেয়িজির সঙ্গে মোদিজির তুলনাই হয় না। আজ বাজপেয়িজি থাকলে ভারতের বিজেপির এই দুর্দশা হতো না। একজন প্রধানমন্ত্রী মুজরা, মুসলমান, মঙ্গলসূত্র, মোষ, সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়া, এরকম ভাষা বলেন! ভাবাই যায় না।’
আরএসএস থেকে মহাত্মা গান্ধী ইস্যু—বারংবার বিজেপির সভাপতি তথা রাজ্যসভার নেতা জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে খাড়্গের প্রবল বাদানুবাদ হয়। নাড্ডা তো বটেই, আরএসএস মন্তব্যে স্বয়ং ধনকারকেও দেখা যায় খাড়্গের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে। অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেই ধনকার বলেন, ‘খাড়্গেজি, একটা সংগঠন দেশের উন্নতির জন্য অবিশ্রান্ত কাজ করে চলেছে। তাদের সম্পর্কে আপনার এরকম আক্রমণাত্মক কথা বলা উচিত নয়।’ আরএসএস সম্পর্কে খাড়্গের যাবতীয় আক্রমণাত্মক বাক্য রাজ্যসভার কার্যবিবরণী থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। 

 ভারতের আত্মাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। পারবেন না।
 গান্ধীজি নাকি মৃত? একটা সিনেমা গান্ধীকে চিনিয়েছে? কতটা অজ্ঞ হতে পারে একজন?
 পরমাত্মার সঙ্গে ডিরেক্ট কানেকশন মোদিজির। আমরা তো নশ্বর মানুষ
 নিট প্রার্থীরা আজ আর পরীক্ষায় বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, এই পরীক্ষা সাজানো হয়েছে ধনীদের জন্য। মেধাবীদের জন্য নয়
 অগ্নিবীর ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মারা গেলেও তাঁকে শহিদ বলা যাবে না! কেন্দ্রের কাছে অগ্নিবীররা ইউজ অ্যান্ড থ্রো লেবার
নরেন্দ্র মোদি একা হিন্দু সমাজ নন। বিজেপিও একা হিন্দু নয়।
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭০ টাকা৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৯ টাকা১০৭.৭৫ টাকা
ইউরো৮৮.২৩ টাকা৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা