দেশ

ভোটে ভরাডুবির জ্বালা, মোদির নিশানায় বাংলা

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: শুধু একটি রাজ্য জয়ের লক্ষ্যেই তিনি ২৩ বার সফর করেছেন। এমন ঢালাও ভোটপ্রচারের পরও সেই বাংলা তাঁকে বিমুখ করেছে। আরও একবার। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪—এই ১০ বছরে তিনটি লোকসভা এবং দু’টি বিধানসভার সম্মুখ সমরে নরেন্দ্র মোদি বারবার পরাস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। গোটা দেশে একমাত্র অপরাজেয় বলেই কি তৃণমূল সুপ্রিমোর উপর ক্রুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্ন উঠছে কেন? কারণ, সংসদে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর আলোচনার পর সরকারের তরফে জবাবি ভাষণে ব্যক্তিগতভাবে কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী পক্ষের কাউকে এককভাবে টার্গেট করেননি মোদি। ব্যতিক্রমী নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, তার মানে মোদি নিজে কি বাংলায় পরাজয়ের হ্যাটট্রিকের জ্বালায় প্রবল ক্ষিপ্ত? মণিপুরের নারী নির্যাতন নিয়ে এক বছরেও মুখ খুলছেন না। অথচ, বাংলায় নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব হচ্ছেন!  কারণ, চোপড়া এবং সন্দেশখালির ঘটনার চরম নিন্দা করে তিনি বুধবার রাজ্যসভায় বলেছেন, ‘যিনি নিজেকে প্রগতিশীল নেত্রী হিসেবে দাবি করেন, তিনি চুপ কেন? নিজের রাজ্যের ঘটনা বলে? নিজের দল যুক্ত রয়েছে বলে?’ চোপড়ার ঘটনা নিয়ে বাংলাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মোদি। বলেছেন, ‘একজন মহিলার উপর অত্যাচার হচ্ছে, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। সবাই ভিডিও তুলতে ব্যস্ত। এটা নিয়ে বিরোধীরা নীরব কেন?’ সংসদের মঞ্চে এভাবে বাংলাকে টার্গেট করার পরই পালটা গর্জে উঠেছে তৃণমূল সংসদীয় দল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেছেন, ‘মোদিজি ভুলতে পারছেন না যে, তিনি বাংলায় হেরে ভূত হয়ে গিয়েছেন। এখন যতই সংসদে বড় বড় সংলাপ বলুন, বাংলায় আপনার খেলা শেষ। ‘তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষ থেকেও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বিতর্কিত, অসম্মানসূচক মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ মোদির আক্রমণে যতটা রাজনৈতিক ক্রোধ রয়েছে, সেই তুলনায় সত্যতা নেই। তৃণমূল এমপি সাগরিকা ঘোষ চেয়ারম্যানকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী এবং সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন। যে সন্দেশখালির কথা উত্থাপন করেছেন তিনি, সেটি যে সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর তৈরি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। আবার চোপড়ার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব তিনি কেন বললেন না?’
মঙ্গলবার লোকসভায় মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র লাগাতার বাধাদানে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বিরোধীদের কৌশল ছিল ভিন্ন। মোদির উত্থাপিত সংবিধান সংক্রান্ত উক্তিকে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও অসত্য আখ্যা দিয়ে রাজ্যসভায় প্রবল প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিরোধী শরিকরা। জবাব দিতে সময় চান বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এরপরই বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে ওয়াক আউট করে। সুতরাং এদিন বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় মোদির ভাষণ চলে এবং বিরোধীশূন্য অবস্থাতেই রাজ্যসভার অধিবেশন সমাপ্ত হয়।  
তিনি আবার ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবেন—এই প্রচার ‘ইন্ডিয়া’ ভোট পর্বের আগাগোড়া চালিয়েছিল। আর তার প্রভাবও পড়েছে ভোটে। সংবিধান রক্ষাই যেন ‘ইন্ডিয়া’র আইডেন্টিটি। সেটা উপলব্ধি করে মোদি মরিয়া হয়ে সংবিধানকেই আঁকড়ে ধরতে চাইলেন। বললেন, ‘ভোটে তো দেশবাসী প্রমাণ দিল যে, আমরাই সংবিধান রক্ষায় যোগ্য। দেশবাসীর ভরসা আমরাই।’ কিন্তু তা ভরসাযোগ্য হল তো? এই প্রশ্নের মধ্যেই অবশ্য আর একটি ইস্যুতে বাধ্য হয়ে ঢুকতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে—নিট। শব্দটি উচ্চারণ না করেও ছাত্র-বিক্ষোভে বেসামাল মোদি প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রসঙ্গ তুললেন। তাঁর শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন, ‘কোনও অনিয়ম হয়নি।’ আর বুধবার মোদি বললেন, ‘পরীক্ষা ব্যবস্থার গোটা সিস্টেম বদলাতে হবে। যুবসমাজকে সুবিচার দেব প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে।’ ২ ঘণ্টার ভাষণের শেষপর্বে এসে মোদি জানালেন তাঁর অন্যতম হাতিয়ারের কথা। বললেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। তারা যা মনে করবে, করতে পারে।’
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৪ টাকা৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড১০৪.৯০ টাকা১০৮.৩৯ টাকা
ইউরো৮৮.৮১ টাকা৯১.৯৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা