দক্ষিণবঙ্গ

মুর্শিদাবাদের লিচু আকর্ষণীয় করে তুলতে দেদার মেশানো হচ্ছে রং, বাড়ছে বিপদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বাজার ঘুরে খুঁজে খুঁজে সব থেকে টকটকে লাল রঙের লিচু কিনে এনেছেন তো? তবে এখনই সাবধান হয়ে যান। এই টকটকে লালচে রঙের লিচুতেই বিপদ লুকিয়ে আছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যজুড়ে দেদার বিকচ্ছে লাল ডাই-তে চোবানো লিচু। একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে সেই রঙ পুরোটাই কৃত্রিম। বাজারে ফলের দোকানে ঝুড়ি ভর্তি লিচুর রঙে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই চোখ জোড়ানো লিচুর রং প্রাকৃতিক নয়, সেটা আপনিও বুঝতে পারবেন। গাছ থেকে লিচু পেড়ে বাজারজাত করার আগে লাল রঙের স্প্রে করা হচ্ছে। তাতেই রূপ বদলে লোভনীয় হয়ে ওঠে লিচু। এই কৃত্রিম রঙের লিচু চড়া দাম দিয়ে কিনেও ফেলছেন সবাই। কিন্তু এই রূপ যে পুরোটাই ‘মেকআপ’ তা জানেন না অধিকাংশ ক্রেতা। না ধুয়েই সেই লিচু খেয়ে বিপদ বাড়ছে মানব শরীরে। অনেকেই ভাবছেন, খোসা ছাড়িয়ে লিচু খাচ্ছেন, সুতরাং এই রং পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না। কিন্তু খোসা ছাড়ালেও রঙের সামান্য অংশ পেটে চলে যাচ্ছে বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। কারণ লিচুর শক্ত খোলার ভিতরে একটি সাদা পাতলা আস্তরণ থাকে। সেই আস্তরণও লাল হয়ে থাকছে কৃত্রিম রং করা লিচুতে। 
যদিও মুর্শিদাবাদের লিচু চাষিদের দাবি, এই জেলার লিচুতে খুব একটা রঙের ব্যবহার করতে হয় না। তবে বিহারের কিছু লিচুতে রঙের ব্যবহার হয় বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। কিন্তু কী পদ্ধতিতে এই রং করা হয়? চাষিরা বলছেন, গাছে থাকা অবস্থায় লিচুর রং না এলেও বৃষ্টির ভয়ে তাড়াতাড়ি পেড়ে নেন অনেক চাষি। সেই সবুজ ও হালকা হলদেটে রঙের লিচুর স্বাদ যাই হোক না, দাম সেরকম মেলে না। তাই গাছ থেকে লিচু পাড়ার আগে লিচুতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় রঙের আভা। রাতারাতি রং বদলে লিচু হয়ে ওঠে লাল বা লালচে গোলাপি। সাধারণত যে রং লিচুতে ব্যবহার করা হয়, তা মেটাল অক্সাইড। কপার, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর ধাতু থাকে এই রঙে। যা পেটে গেলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত তিন ধরনের ক্ষতিকর রং লিচুতে মেশানো হয়। রেড অক্সাইড, রোডামাইন-বি এবং কঙ্গো রেড। এই অপ্রাকৃতিক গাঢ় রং ধীরে ধীরে শরীরে গিয়ে সর্বনাশ ঘটাচ্ছে পাচনতন্ত্রে। অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে লিভার ও কিডনির। এমনকী নিয়মিত এই রং পেটে গিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে বলেই মত চিকিৎসকদের একাংশের।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন চিকিৎসক একই কথা বলেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন এক নাগাড়ে লিচুর এই ক্ষতিকারক রং শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে তা লিভারের ক্ষতি করে। তার সঙ্গে অনেকের পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। নিয়মিত এই রং পেটে গেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। লিচুর কোয়ালিটি কন্ট্রোল দরকার। ফুড সেফটি বিভাগ এবং বাজারে নজরদারির জন্য যে সমস্ত সংস্থা আছে, তাদের আরও তৎপর হতে হবে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, নিজেদের সুরক্ষার জন্য লিচু খাওয়ার আগে নিদেনপক্ষে গরম জলে ধুয়ে নিলে এই রঙের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বাজার থেকে লিচু কেনার সময় একটু দেখে কিনলে, রং ছাড়া লিচু কেনা যেতে পারে। 
ফরাক্কার এক লিচু চাষি আজিজুল শেখ বলেন, আমাদের জেলায় লিচুতে রং মেশানোর প্রয়োজন হয় না। তবে বিহার ও মালদহেব বেশকিছু অংশে শুরুর দিকে লিচুতে রং ধরে না। সেকারণে বাজারে দাম পাওয়ার জন্য গাছ থেকে পাড়ার ঠিক দু’দিন আগে লিচুতে রঙের স্প্রে করা হয়। সুন্দর লালচে গোলাপি রঙের লিচু দেখলেই লোভ লাগবে। ফলে অনেকেই অসাধু উপায়ে লিচু রং করেন।  নিজস্ব চিত্র
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা