উত্তরবঙ্গ

জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে দাঁতের যন্ত্রণায় কাতর শিশু, ফিরিয়ে দিলেন হাউস স্টাফ

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শনিবার সকাল দশটা। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সদর হাসপাতালে ডেন্টাল ওপিডি’র সামনে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে বসে সিরাজ মহম্মদ। দাঁতের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি। দরজা ঠেলে ভিতরে উঁকি মেরে বারবার কাতর আবেদন করছেন শহরের সেনপাড়ার বাসিন্দা সিরাজ, ‘ডাক্তারবাবু, আমার ছেলের দাঁতে ফিলিং হবে। আজ তারিখ দেওয়া হয়েছিল। ছেলেটা যন্ত্রণায় থাকতে পারছে না।’ ভিতর থেকে হাউস স্টাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও সিনিয়র ডাক্তার নেই। আজ ফিলিং হবে না। পরের শনিবার আসতে হবে। শুনে হতাশ হয়ে বাড়ির পথ ধরলেন সিরাজ। তালমা থেকে পাঁচ বছরের ছেলে রেহানকে নিয়ে এসেছিলেন রোজিনা বেগম। তাঁরও একই আর্তি। বললেন, ছেলেটা দাঁতের ব্যথায় কিছু খেতে পারছে না। কিন্তু কাতর আবেদনেও কাজ হল না।
ফিলিং হচ্ছে না কেন? একা আউটডোর সামলানো হাউস স্টাফ শিবম তেওয়ারি বলেন, ডেন্টাল ওপিডি’তে দু’জন সিনিয়র ডাক্তার থাকার কথা। কেউ নেই। আমি একা রোগী দেখব, না ফিলিং করব? বাধ্য হয়েই ফেরাতে হচ্ছে রোগীদের।
বেহাল ছবি জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকেও। সেখানে ঢুঁ মেরে দেখা গেল, নামেই ফিভার ক্লিনিক। কিন্তু কোনও ডাক্তার নেই। ক্লিনিক চালাচ্ছেন এক ল্যাব টেকনিশিয়ান। বাইরে জ্বরের রোগীরা অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সোয়াব পরীক্ষা করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেনারেল মেডিসিনের ওপিডি’তে। সেখানে গিয়ে আবার লাইন দিতে হচ্ছে। এভাবে হয়রান হয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন রোগীরা।
কেন এই অবস্থা? ফিভার ক্লিনিকের ল্যাব টেকনিশিয়ান নবনীতা রায় বলেন, এখানে একজন ডাক্তার ছিলেন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় তিনি আসছেন না। আমরা তো আর চিকিৎসা করতে পারি না! তাই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে ফের জেনারেল মেডিসিনের ওপিডি’তে পাঠিয়ে দিচ্ছি। মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, সুপার স্পেশালিটিতে ডেন্টালের একটি ওপিডি চলে। ফলে সদর হাসপাতালের ডেন্টাল ওপিডি আমরা তুলে দেব। ওখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার শিবাজি রায় বাড়ির সমস্যার দরুণ ছুটিতে। একইসঙ্গে সুপারের দাবি, এখন আমরা ফিভার ক্লিনিক সেভাবে চালাচ্ছি না। ওখানে যিনি ডাক্তার, তিনি নিজেই অসুস্থ। তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। অভিযোগ, অর্থোপেডিকের ওপিডি’র অবস্থা খুবই খারাপ। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে অন্তত তিনশো রোগীর লাইন। আউটডোরের টিকিটে দু’জন ডাক্তারের নাম লেখা। কিন্তু ভিতরে রোগী দেখছেন মাত্র একজন ডাক্তার। তাহলে আর একজন গেলেন কোথায়? ডাক্তার অনুপম সাহার দাবি, শনিবার আমার সঙ্গে একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট দেবাঞ্জন আদকের থাকার কথা। কিন্তু তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যভবন থেকে কাউকে না দিলে এভাবেই চলবে কাজকর্ম। - নিজস্ব চিত্র
27d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা