কলকাতা

ডাকাতি করতে এসে দুর্গার রোষে সংজ্ঞাহীন রঘু ডাকাত, আগরপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায়দের পুজোয় নানা মিথ

বিশ্বজিৎ মাইতি, বরানগর: হা রে রে রে করতে করতে দলবল নিয়ে ডাকাতি করতে এসে পৌঁছেছে রঘু ডাকাত। লুটের সময় অকস্মাৎ মূর্ছা গেলেন। সবাই বিশ্বাস করে, দেবী দুর্গার রোষেই সংজ্ঞাহীন ভয়ঙ্কর রঘু। জ্ঞান ফেরার পর বলেন, ‘ছাতাপড়া বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে আর কোনওদিন ডাকাতি করতে আসব না।’ শোনা যায়, দেবী একদিকে রাগী অন্যদিকে করুণাময়ী। অষ্টমীতে পুজো করছেন ব্রাহ্মণ। তিনি খর্বাকৃতির মানুষ। দুর্গার মাথা পর্যন্ত হাত পৌঁছচ্ছিল না। ফলে মালা পরাতে পারছিলেন না। সেদিন মালা নিতে নিজেই মাথা নিচু করেছিলেন দুর্গা। পশু বলি হতো পুজোয়। বলির মোষ নিজেই খুঁজে এনেছিলেন জগৎজননী। আগরপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোকে ঘিরে ছড়িয়ে এমন হাজারো মিথ। 
এ বাড়ির পুজোর ভোগেও অভিনবত্ব। দেশি কই। সরষে ইলিস। চিংড়ি মালাইকারি। রুই মাছের কালিয়া খেতে দিতে হয় দেবীকে। তিন বেলা থাকে ভূরিভোজের আয়োজন। দশমীর বিদায় বেলায় পান্তা ভাত ও ইলিস ভাজা খান দেবী। তারপর লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনির মশলা দিয়ে বানাতে হয় স্পেশাল পান। তা খেয়ে ‘পরের বছর আসব’ বলে আশ্বাস দিয়ে রওনা দেন দুর্গা।
ঢাকা বিক্রমপুরের সংস্কৃত পণ্ডিত রামশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি বছর পানিহাটিতে আসতেন গঙ্গা স্নান করতে। কলকাতার এক জমিদার সন্তোষ রায় নিজের মেয়ে হরিপ্রিয়ার সঙ্গে রামশঙ্করের বিবাহ দেন। শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতায় জমিদারি পত্তন করেন রামশঙ্করবাবু। একদিন হরিপ্রিয়াদেবী স্বপ্নে দুর্গার নির্দেশ পান। তারপর ১৭৮৩ খ্রীষ্টাব্দে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। সে পুজোর আভিজাত্য এখনও অটুট। তবে ১৯৯৫ সালে বন্ধ হয় মোষ বলি। ২০২২ সালে পাঁঠা বলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। 
পরিবারের সদস্যরা জানালেন, মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে দুর্গা দালানে শুরু হয় চণ্ডীপাঠ। ষষ্ঠীতে ঘট উত্তোলন থেকে শুরু হয় আরাধনা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে দুর্গাকে দেওয়া হয় আমিষ ভোগ। সকালে মাসকলাই ও গোবিন্দ ভোগ চালের খিচুড়ি, আলু, বেগুন, পটল, ঢেঁড়শ, কুমড়ো, লাল শাক, নারকেল ভাজা ইত্যাদি। এ ছাড়াও ইলিস সহ নানা ধরনের মাছ ভাজা। সপ্তমীর সকালে খিচুড়ি। দুপুরের ভোগে সাদা ভাত, লাউ চিংড়ি ও নানা ধরনের সব্জি ও মাছের একাধিক পদ, চাটনি, পায়েস। রাতে সাদা ভাত ও বিভিন্ন তরিতরকারি ও মাছ। অষ্টমী ও নবমীতে সব্জি ও মাছের পদ অপরিবর্তিত থাকে। তবে অষ্টমীর স্পেশাল হিসেবে থাকে তেল কই, কচুশাক ও এঁচোড়। নবমীর রাতের রান্না তুলে রাখা হয় দশমীর জন্য। ওই পান্তা ভাত দুর্গার ভোগে অর্পণ করার রীতি। পুরুষরা দেবীকে কাঁধে তুলে নিয়ে যান গঙ্গার ঘাটে। দেবীর মুখশুদ্ধিতে থাকে স্পেশাল পান। পরিবারের পক্ষ থেকে শক্তিপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পূর্বপুরুষদের থেকে শুনেছি পুকুর খননের সময় কয়েক ঘড়া মোহর মিলেছিল। আমাদের মা মৃন্ময়ী নয়, চিন্ময়ী। পুজোর সময় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সদস্যরা আসেন। মানত পূরণ হওয়ায় কারণে অনেকে ভোগ-অঞ্জলি নিবেদন করেন।’
ঠাকুর দালানের সামনে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। -ফাইল চিত্র
5d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৭ টাকা৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৫ টাকা১১২.২০ টাকা
ইউরো৯১.৫৭ টাকা৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা