কলকাতা

দেদার বিকোচ্ছে ছোটদের জামা, বড়রা থমকে ব্র্যান্ডে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোর আর বিশ দিনও বাকি নেই।  এদিকে আর জি কর কাণ্ডের জেরে দিন কয়েক আগেও মার খাচ্ছিল বাজার। প্রায় মাছি তাড়ানোর অবস্থা ছিল বিক্রেতাদের। সেই খরা যে কাটছে, তা জানাচ্ছেন বিক্রেতাদের একাংশ। বিরাট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে যাঁরা নতুন স্টক তুলেছিলেন, পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আর জি কর আন্দোলন খানিকটা থিতু হতেই একটু একটু করে ভরসা বাড়ছে তাঁদের। খুচরো বাজার বলছে, ইতিমধ্যেই জমে গিয়েছে ছোটদের জামাকাপড়ের কেনাকাটা। প্রাপ্তবয়স্কদের একটা বড় অংশ নজর রাখছেন ব্র্যান্ডের উপর। ফলে মধ্যবিত্তের ভিড় বাড়ছে নামি ব্র্যান্ডের জামা ও জুতোর শোরুমগুলিতে। 
গড়িয়াহাট বা নিউ মার্কেট চত্বরে হরেক ব্যান্ডের শোরুম রয়েছে, যাদের পোশাকের দাম মোটামুটি মধ্যবিত্তের নাগালে। সেই দোকানগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। কখনও তাঁরা ঝুঁকছেন খাদি বা সুতির পোশাকের উপর, তো কখনও একটু জমকালো পার্টিওয়্যারে মন মজছে তাঁদের। তুলনামূলক ছোট দোকানগুলিতেও যে ব্যবসা খারাপ হচ্ছে, তা নয়। হাতিবাগান ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক অমলকুমার দাসের কথায়, আর জি কর কাণ্ডের সময় বাজার যেভাবে বসে গিয়েছিল, তা থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। ক্রেতারা আসছেন শ্যামবাজার-হাতিবাগান চত্বরে। তাঁদের হাতে নতুন পোশাকের ব্যাগ বা প্যাকেট দেখা যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে জুতোও। আমাদের পুজো-ব্যবসার জন্য আর দিন কুড়িও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে যদি এটুকু বিক্রি না হয়, তাহলে মুশকিল। 
নিউ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবু ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, বাজার এখনও সেভাবে বাড়েনি। তাঁর কথায়, যে সময় আন্দোলন ঝাঁঝালো ছিল, তখন বাজারের পরিস্থিতি যা ছিল, তার চেয়ে তেমন একটা ভালো হয়নি। তবে ছোটদের কেনাকাটায় আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যাঁরা ছোটদের পোশাক বিক্রি করেন, তাঁদের দোকানে বা শোরুমে ভালো ভিড় হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সভাপতি। তিনি বলেন, বড়রা নিজেদের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু ছোটদের তো আর বঞ্চিত করা চলে না। তাই তাদের বাজার যথেষ্ট চাঙ্গা।
দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। তার জের এসে পড়েছে বড়বাজার এলাকার পাইকারি দোকানগুলিতে। এখানে পুজোর আগে ভালো ভিড় থাকে হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া বা বর্ধমানের মতো জেলা থেকে আসা ক্রেতাদের। বন্যার কারণে সেখান থেকে আসা ক্রেতাদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, করোনার প্রথম বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালের পুজোয় বাজার খুব খারাপ গিয়েছিল। কিন্তু তারপরের দু’টি বছরে করোনা থাকলেও, বাজার মোটামুটি ভালো ছিল। এবারের মন্দা বাজার ২০২০ সালের সময়কে মনে করাচ্ছে, এমন আক্ষেপ করেছেন অনেকেই। আগামী দিন কয়েকে পরিস্থিতির কতটা বদল হয়, সেটাই দেখার। 
13h 13m ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৭ টাকা৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৫ টাকা১১২.২০ টাকা
ইউরো৯১.৫৭ টাকা৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা