কলকাতা

কমে গিয়েছে খেজুর গাছের সংখ্যা রস সংগহে ব্যস্ততা নেই শিউলির

সংবাদদাতা, কল্যাণী: কার্তিক মাসের সংক্রান্তি নাগাদ ঠান্ডার একটা ভাব আসতেই শিউলিরা খেজুর গাছ ঝরাতে বা রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পরেন। কিন্তু আগের তুলনায় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাঁদের সেই ব্যস্ততা আর সেভাবে চোখে পড়ে না গ্রামে-গঞ্জে। গোটা রাজ্যের সঙ্গে একই অবস্থা চাকদহ এবং হরিণঘাটা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামেও।
আগে চাষের জমির আলে এবং বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে অনেক খেজুর গাছ দেখা যেত। শিউলিরা গাছের সংখ্যা ধরে লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ করতেন। যেখানে গাছ থাকতো বেশি, সেই এলাকায় ত্রিপল টাঙিয়ে বা খেজুর গাছেরই শুকনো পাতা দিয়ে ছাউনি তৈরি করে দিতেন পাহাড়া। সাধারণত শীতের এই চার মাসই থাকত খেজুর রসের ব্যবসা। বাকি সময় দিনমজুরি করে বা অন্য পেশা থেকে সংসার চালাতে হয় শিউলিদের। কিন্তু এখন চাষের জমিতে বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ায় খেজুর গাছ অনেক কমে গিয়েছে। ফলে ওই চার মাসও সেভাবে কাজ পাচ্ছেন না শিউলিরা। এছাড়াও অনেক শিউলির বয়স হয়েছে। এদিকে, চাহিদা না থাকায় তাঁদের সন্তানরা নতুন করে কেউ এই পেশায় আসতে চাইছেন না। ফলে খেজুর গুড়ের চাহিদা থাকলেও গাছ কেটে ফেলায় রসের সেই চাহিদা মিটছে না।
চকদহ, হরিণঘাটা ব্লকের চাঁদুরিয়া, শিমুরালি রাউতারি, কাষ্ঠডাঙা, নিমতলা, ফতেপুর গ্ৰামে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা অর্ধেককেরও নীচে নেমে গিয়েছে বলে স্থানীয় মানুষরাই জানাচ্ছে। সামনেই পিঠা পার্বণের মাস। এই সময়ে গুড় তৈরির জন্য রসের চাহিদা আরও বাড়ে। সাধারণত দৈনিক একটি গাছ থেকে দশ থেকে বারো কিলো রস মেলে। চাকদহের একজন শিউলি হেমচন্দ্র দাস প্রায় ৪৫ বছর ধরে এই কাজ করছেন। 
তিনি বলেন, দু-একটা খেজুর গাছের দেখা মিললেও, শিউলিদের দেখা পাওয়া যায় না। দু’তিনটি গ্রামে খোঁজ করলে হয়তো একজন শিউলি পাওয়া যাবে। এখন চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত রসও পাওয়া যায় না। আর এই কাজে তেমন আর লাভও নেই। তাই এই পেশায় নতুন প্রজন্ম আর আসতে চাইছে না। 
নিজস্ব চিত্র
7Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা