অমৃতকথা

বেদান্ত

এই যে mass movement আজ ভারতের দেহে প্রাণে জেগে উঠেছে—এর অনুশীলন হয়েছিল বৌদ্ধ যুগে। স্বামীজীর শ্রীমুখাৎ আমরা পাই, বনের বেদান্তকে ঘরে নিয়ে আসতে হবে। বেদান্তে প্রতিপাদ্য ব্রহ্মজ্ঞান পেয়ে গহন বনে বা তুষারাবৃত পর্বতগুহায় বসে তা উপভোগ করলে চলবে না। অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বেঁধে শ্রীশ্রীমহামায়ার কাজ করে যেতে হবে, শ্রীশ্রীঠাকুরের এই উপদেশ। তাই তাঁর সন্তানেরা চির শুদ্ধ, মুক্ত হয়েও সংসারের মধ্যে রয়েছেন—জীবের অজ্ঞতা, অন্নহীনতা, সমাজের অত্যাচার দূর করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। স্বামী অখণ্ডানন্দের জীবন দেখলে এইসব বেশ বোঝা যায়। তাঁর তিব্বত ভ্রমণ, রাজপুতানায় শিক্ষাবিস্তার, মুর্শিদাবাদে ত্রাণকার্য, তারপর পল্লিগ্রামে আশ্রম স্থাপন করে natural life lead করা—এইসব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, মৃন্ময় দুনিয়াকে চিন্ময় করবার জন্যই যেন শ্রীশ্রীঠাকুরের আবির্ভাব।
স্বামী অখণ্ডানন্দ কখনো ‘পরোপকার’ কথা লিখতেন না, শুধু ‘উপকার’ ব্যবহার করতেন। ‘পর’ এই কথাটি পর্যন্ত যেন তাঁর সহ্য হতো না। মহারাজের একখানি ছবি আছে—জামা-জুতো পরা এবং একটি শিশুকে কোলে করে দাঁড়িয়ে। শ্রীশ্রীঠাকুরের সন্তান, স্বামী বিবেকানন্দের অনুগত সহচর ও ভাই, সর্বত্যাগী বালক-সন্ন্যাসীর এই কী মূর্তি! তা চিন্তা করলে মস্তিষ্ক বেঠিক হয়ে যায়, হৃৎপিণ্ডের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
কৈলাসশিখরে তিব্বতভূমির অন্তরে ভগবান বুদ্ধকে জমিয়ে রাখলে চলবে না। ভগবান বুদ্ধকে গলিয়ে বের করে সেই শান্তিবারি ভারতের সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। সব অমঙ্গল দূর হয়ে যাবে—দেশের মঙ্গল, দশের মঙ্গল, প্রত্যেকের মঙ্গল হতেই হবে। স্বামী অখণ্ডানন্দ তিব্বত ভ্রমণ করে যেন তাঁর তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করলেন। সাধু ভক্ত তীর্থভ্রমণ করেন—ভাব গ্রহণ করতে, হৃদয় পূর্ণ করতে। স্বামী অখণ্ডানন্দের হৃদয় ভারতের তীর্থস্থান সব দেখেও পূর্ণ হলো না। তাই তিনি ছুটে গেলেন কৈলাসের সেই মুক্ত বায়ুতে, সেই স্বাধীন দেশে—ভগবান বুদ্ধের রত্নগহ্বরে। তীর্থযাত্রা শেষ করে পথিক ফিরে এলেন আপন দেশে, কণ্ঠে তাঁর সত্যের বাণী। সত্যের প্রতিমূর্তি তিনি—তাঁর মুখে শুনেছি, তিনি যদি একটু মিথ্যা পরিচয় দিতেন, তাহলে তিব্বতের রাজধানী ‘লাসা’-ঢুকতে পারতেন। কিন্তু তাঁর জিহ্বা মিথ্যা উচ্চারণ করতে পারেনি। একদল মুসলমান বণিক লাসায় পণ্যসম্ভার নিয়ে বাণিজ্য করতে যায়। স্বামী অখণ্ডানন্দের তখন যে চেহারা ছিল—বিশেষ করে তাঁর তলোয়ারের মতো নাক, তাতে অনায়াসে তিনি সেই দলে মিশে সেখানে চলে যেতে পারতেন। তিব্বতে বহু লোক এই ফন্দি তাঁকে শেখায়। কিন্তু তিনি বললেন, “‘আমি বাঙালি সন্ন্যাসী’—আমার এ-ই পরিচয়, অন্য পরিচয় নেই।”
সরসীলাল সরকারের ‘অখণ্ডানন্দজীর স্মৃতি’ থেকে
20h 20m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৭ টাকা৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড১০৫.৭০ টাকা১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো৮৭.৫৩ টাকা৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা