ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
১৭ আগস্ট রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হয়ে মাত্র কুড়ি দিনের মাথায় প্রকাশিত হয়েছে এবারের মেধা তালিকা। গত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে ২৩৯টি কেন্দ্রে এবারে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৫ হাজার ১৭০ জন। এর মধ্যে মোট ৬৪ হাজার ৮৫৩ জন ছাত্রছাত্রীকে মেধা তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ১৫ হাজার ৬৭ জন রয়েছে অন্যান্য রাজ্য থেকে। ই-কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবেন রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি কলেজের মোট ৩৪ হাজার ৪৩৯ টি আসনে। ই-কাউন্সেলিং বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে— wbjeeb.nic.in ওয়েবসাইটে।
গত বছরের মতো এ বছরে ছাত্রছাত্রীদের ই-কাউন্সেলিংয়ের প্রতিটি পর্বে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। এই সুযোগ থাকছে কেবল প্রথম পর্বেই। এ বছরের রেজিস্ট্রেশন ফি ধার্য করা হয়েছে ৩০০ টাকা। প্রথমেই রেজিস্ট্রেশন না করে প্রার্থী বাদ যাবেন ই-কাউন্সেলিং থেকে।
এবার আসা যাক ই-কাউন্সেলিংয়ের প্রথম পর্বে। এই পর্ব চলবে ১৩ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। এই পর্বে রেজিস্ট্রিকৃত ছাত্রছাত্রীরা চয়েস কিলিং এবং চয়েস লকিং-এর মাধ্যমে একাধিক কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অন্তর্গত একাধিক বিষয়কে ক্রমানুসারে চয়েস করবে এবং এরপরে চূড়ান্ত বাছাই সাপেক্ষে চয়েস লক করবে। এই চয়েস কিলিং ও লকিং-এর মাঝখানে যতবার প্রয়োজন বাছাইয়ের কাজে পুর্নবিন্যাস ঘটানো যেতে পারে। তবে চয়েস লক হয়ে গেলে তা আর পরিবর্তন করা যাবে না। এরপরেই ১৯ আগস্ট প্রকাশিত হবে প্রথম পর্বে আসন বণ্টনের তালিকা। এই তালিকা অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রাপ্ত কলেজ ও বিষয়ে ভর্তি হতে পারে। তবে, কলেজে ভর্তি হতে যাওয়ার আগে সিট অ্যাকসেপ্টেন্স ফি বাবদ পাঁচ হাজার টাকা অনলাইনে জমা দিয়ে অ্যালটমেন্ট লেটারের প্রিন্ট আউট নিয়ে কলেজের অ্যাডমিশন বিভাগে দেখা করতে হবে এবং সেখানে প্রথম সেমেন্টারের ভর্তির জন্য বাকি টাকা জমা দিতে হবে। প্রথম সেমেস্টারের ফি সম্পূর্ণভাবে কলেজগুলির উপরে নির্ভরশীল।
এ বছরে ই-কাউন্সেলিংয়ে কোনও কমন সার্ভিস সেন্টার বা রিপোটিং সেন্টার থাকছে না। ফলে ভর্তি সংক্রান্ত সমস্ত ডকুমেন্ট ডেরিফিকেশনের কাজ হবে প্রথম পর্যায়ে কলেজে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই কলেজ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার সিট অ্যাকসেপ্টেন্স ফি জমা দিয়ে প্রথম সেমিস্টারের বাকি টাকা জমা না দেওয়া পর্যন্ত তা প্রভিশনাল অ্যাডমিশন হিসাবে গণ্য করা হবে।
যদি কোনও ছাত্রছাত্রী সিট অ্যালটমেন্ট অ্যাকসেপ্টেন্স ফি জমা দেওয়ার পরেও ই-কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে চায় তবে সে তা করতে পারে। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের সময়ে ছাত্রছাত্রীদের দশম শ্রেণির অ্যাডমিট কার্ড বা বার্থ সার্টিফিকেট, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশিট, তফসিলি জাতি, উপজাতি বা ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত হলে তার প্রমাণপত্র, রাজ্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা যদি টিউশন ফি ওয়েভার প্রকল্প বা শারীরিক অক্ষমতার জন্য সংরক্ষিত আসনে আবেদন করে, তবে সে বিষয়ে বোর্ডের নিয়মভুক্ত প্রমাণপত্রও কলেজে দাখিল করতে হবে। যদি কোনও বোর্ডে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য দু’টি মার্কশিট দেওয়া হয়, তবে দু’টি মার্কশিটই দাখিল করতে হবে।
প্রার্থী যদি প্রথম পর্বে তার মনের মতো কলেজ বা বিষয় না পায় (যা সম্পূর্ণভাবে প্রথম পর্বের আসন বণ্টনের উপরে নির্ভরশীল) তাহলে তাকে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তার জন্য প্রার্থী আপগ্রেডেশন চাইতে পারে।
প্রথম পর্বের পরে সিট অ্যাকসেপ্টেন্স ফি জমা দেওয়া এবং অ্যালটমেন্ট লেটার নিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য (যদি ভর্তি হতে চায়) সময় পাওয়া যাবে ২০ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। ২৭ আগস্ট প্রকাশিত হবে আসন বণ্টনের দ্বিতীয় তালিকা। এরপর প্রথম পর্বের মতোই কলেজে ভর্তি হওয়ার পালা চলবে ২৭ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এবার আসা যাক মপ আপ পর্বের বিষয়ে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরে থাকছে এই পর্ব। অর্থাৎ মেধা তালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা নিজেদের মনের মতো কলেজ ও বিষয় পায়নি, এই পর্বে তারা সে সুযোগ নিতে পারবে। তবে মপ আপ রাউন্ডে তাদের মপ আপ রাউন্ড রেজিস্ট্রেশন ফি অনলাইনে আলাদাভাবে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে এই পর্বে চলবে চয়েস কিলিং ও চয়েস লকিং পর্ব। এটি চলবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মপ পর্বের ফল প্রকাশিত হবে ১১ সেপ্টেম্বর। ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর চলবে মপ আপ রাউন্ডের মেধা তালিকায় সুযোগ পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর্ব। চয়েস কিলিং ও লকিং পর্বে বিষয় ও কলেজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। কারণ এই সিদ্ধান্তের উপরে পুরো জীবনটাই নির্ভরশীল। তাই সময় নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।