ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
বায়োকেমিস্ট্রির মূল শাখাগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যানিমাল বায়োকেমিস্ট্রি, প্ল্যান্ট বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকিউলার বায়োলজি, সেল বায়োলজি, মেটাবলিজম, ইমিউনোলজি, জেনেটিক্স, এনজাইমোলজি। অন্যান্য বিজ্ঞানের যে সকল শাখার সঙ্গে বায়োকেমিস্ট্রি যুক্ত সেগুলি হল— বায়োটেকনোলজি, মলিকিউলার কেমিস্ট্রি, এনজাইমেটিক কেমিস্ট্রি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যাল, এন্ডোক্রাইনোলজি, নিউরোকেমিস্ট্রি সহ বেশ কিছু বিষয়।
বিজ্ঞান নিয়ে হায়ার সেকেন্ডারি বা সমতুল পরীক্ষা পাশ করে স্নাতক স্তরে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়া যায়। এরপর স্নাতকোত্তর স্তরে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা, হাসপাতাল, সরকারি সংস্থা এবং এনজিওগুলিতে বায়োকেমিস্ট নেওয়া হয়। যদিও এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিটিতেই গবেষণা ও পরীক্ষা চালানো হয়। ক্যান্সার বা এইচআইভি বা বর্তমানে নোভেল করোনা ভাইরাসের মতো রোগ জীবাণুকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা খুঁজে বার করা অথবা বিভিন্ন রকমের রোগের উৎস এবং কারণ খুঁজে বের করাই এর লক্ষ্য।
বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে যে সকল সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—
মেডিসিন: কোন রোগ কী কারণে হয়, কীভাবে সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের শরীরে তার প্রভাব, রাসায়নিক প্রয়োগে কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, এগুলি মেডিসিন বায়োকেমিস্ট্রির সফল প্রয়োগে জানা যায়। আর এর উপর ভিত্তি করে নানা রকমের ওষুধ তৈরি করা হয়। তাই ওষুধ শিল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে বায়োকেমিস্টদের।
এগ্রিকালচার: বিভিন্ন দেশে যে খাদ্য সংকট চলছে, বায়োকেমিস্টদের হাত ধরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। গাছের রোগ ও পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিশেষ করে শস্য সংরক্ষণ করে এই সংকটের মোকাবিলা করা যায়। আর এ কারণে চাষাবাদেও বায়োকেমিস্টরা সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। কাজের সুযোগ চাষাবাদেও রয়েছে।
নিউট্রিশন: মানব দেহে খনিজ, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন, ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে নানা ধরনের ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হয়। এখানেও প্রয়োজন হয় বায়োকেমিস্টদের। বায়োকেমিস্টরা দেখেন এই অত্যাবশকীয় দ্রব্যগুলি শরীরে বেশি বা কম হয়ে গেলে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আর সে কারণে নিউট্রিশন-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়াগাও বায়োকেমিস্টদের দখলে চলে এসেছে।
পড়া শেষে কাজ মেলে অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট হিসাবে, বায়োমেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট হিসাবে, হেলথ কেয়ার সায়েন্টিস্ট, ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, ফরেনসিক সায়েন্টিস্ট, সায়েন্টিফিক ল্যাবোরেটরি টেকনিশিয়ান, কেমিস্ট, ফিজিসিস্ট, পলিসি মেকার, ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। যেসব জায়গায় কাজের সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি ইনস্টিটিউট, কসমেটিক কোম্পানি, ফরেন্সিক ক্রাইম রিসার্চ সেন্টার, ড্রাগ ডিসকভারি ইনস্টিটিউট প্রভৃতি।