আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এই দুনিয়ার গ্ল্যামার, জাঁকজমক দেখে অনেকেই মনে করেন, ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স করা মানে সোনার সুযোগ পাওয়া। তবে সফলভাবে কোর্স করতে গেলে আগের সব পরীক্ষায় ‘প্রচণ্ড’ ভালো নম্বর না পেলেও চলবে। কিন্তু ‘ডিজাইনার’ হিসেবে চিহ্নিত হতে গেলে বিশেষ কিছু দিকে ঝোঁক এবং প্রতিভা আপনার অবশ্যই থাকতে হবে। রং এবং বিভিন্ন শেড এবং টেক্সচারের মিশ্রণের মাধ্যমে আপনাকে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দ্রুত স্কেচ করে নিজের চিন্তার কথা প্রকাশ করার দক্ষতা থাকা চাই। নতুন ধরনের সব ডিজাইন, প্যাটার্ন, পোশাক এবং অ্যাকসেসরিজের কথা কল্পনা করাও আপনার স্বভাব হতে হবে। যে কোনও ধরনের বস্ত্র নিয়ে কাজ করায় সাবলীল হতে হবে। এই গুণগুলি এবং তার সঙ্গে ‘আরও অতিরিক্ত কিছু’ যদি আপনার থাকে, তাহলে আপনাকে ফ্যাশনের দুনিয়া স্বাগত জানাচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে, বাইরে থেকে দেখে যেমন মনে হয়, এই পেশায় কিন্তু সুখের দুনিয়ার গা ভাসিয়ে চলা যাবে না। বরং আপনাকে নিংড়ে নেবে এই পেশা। কারণ এখানে সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে আপনাকে ম্যানেজারিয়াল দক্ষতাও মেশাতে হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক হওয়ার পর সকলেই মূলত তিনটি সুযোগ পাবেন। প্রথমত, পেশাদার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, উচ্চশিক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন এবং তৃতীয়ত, ফ্যাশনের উপর নিজের ব্যবসা চালু করতে পারেন। যাঁরা ডিজাইনিংয়ে আগ্রহী তারা পোশাক প্রস্তুতকারক, ডিজাইনার হাউস, রিটেল স্টোর, বুটিক, কস্টিউম ডিজাইনার হাউসে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। আবার যাদের ম্যানেজারিয়াল দক্ষতা আছে, তাঁরা ফ্যাশন মার্কেটিংয়ে যোগ দিতে পারেন।
মাকাউটের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর এই তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সটি করা যাচ্ছে এনএসএইচএম-এর মতো কলেজগুলিতে। তিন বছরের এই বিএসসি ফ্যাশন কোর্সে যোগ দিতে হলে যে কোনও বোর্ড থেকে দ্বাদশ পাশ করলেই হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া কমন এন্ট্রান্স টেস্ট (সেট) অবশ্যই পাশ করতে হবে। তার সঙ্গে যে কলেজে এই কোর্স পড়ানো হবে সেখানকার ইন্টারভিউ তো আছেই। এই কোর্সটি পাশ করে পেশাদার জগতে প্রবেশের আগে বিশেষ সামার ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ফাইনাল সেমেস্টারে ছাত্রছাত্রীদের সৃষ্টিশীলতার প্রদর্শনের জন্য একটি গ্র্যান্ড ফ্যাশন শো-এর আয়োজনও করা হয়।