আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
অর্পিতা বলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জেলার রাজনৈতিক মহল দেখতে পাবে তৃণমূল কোথায় আর বিজেপি কোথায়। জেলা পরিষদের যে সমস্ত সদস্য আমাদের দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তাঁদের অনেকেই আমাদের দলে ফের যোগ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁরা দলে ফিরবেন। ফের জেলা পরিষদ আমাদের দখলে আসবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, জেলা পরিষদের আমাদের বিজেপির সদস্যদের পুলিস প্রশাসন দিয়ে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমরা তা প্রতিহত করবার চেষ্টা করেছি। রাজ্য নেতৃত্বকে সব জানানো আছে। বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, কারা যাবে সেই বিষয়ে কিছু জানা নেই। কেউ বাচ্চা না। যদি যেতে চায়, যাবে। তবে পুলিস দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে নোংরা রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল। আমি তৃণমূলে থাকাকালীন এমনটা কোনও দিন করিনি।
মঙ্গলবার কলকাতায় দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্পিতা ঘোষ, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, ললিতা টিগ্না, প্রবীর রায়কে নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। সেখানে জেলা নেতৃত্বকে যেভাবে হোক জেলা পরিষদ ধরে রাখতে হবে এমনটাই নির্দেশ দেন নেত্রী। নেত্রীকে জেলা নেতারা আশ্বাস দেন কয়েক দিনের মধ্যেই জেলা পরিষদের যে সদস্যরা বিজেপিতে গিয়েছেন তাঁদের ১০ জনের মধ্যে তিন-চারজন আমাদের দলে আবার ফিরতে চাইছেন। দ্রুত জেলা পরিষদ আমরা পুনর্দখল করব। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে এই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রী বেচারাম মান্না জেলায় আসবেন। তাঁর হাত দিয়ে ঘর ফেরাদের হাতে দলীয় পতকা তুলে দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগদানকারী জেলা পরিষদের ১০ সদস্যদের একাংশ চাপে রয়েছেন। অনেকে বাড়িছাড়া রয়েছেন। কেউ আবার জেলায় এলেও জেলা পরিষদের আসছেন না। স্বাভাবিক ভাবে বাড়ি ছেড়ে কেন তাঁরা রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে ঘরছাড়ারাই কি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন? যদিও বিজেপির দাবি, পুলিস আর গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখানোর কারণে ঘরছাড়া রয়েছেন ওই সদস্যরা। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির। তাদের দাবি ভিত্তিহীন অভিযোগ। জেলা পরিষদের ১৮ জন সদস্যদের মধ্যে সভাধিপতি সহ মোট ১০ জন বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন ফের তৃণমূলের যোগদান করলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হবে ১১। বিজেপির থাকবে সাত। তাতেও কি তৃণমূল জেলা পরিষদ দখল করতে পারবে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন রাখছে রাজনৈতিক মহল।