আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করায় এদিন স্থানীয় মহিলারা অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, শহরের মালঞ্চ চণ্ডীপুর এলাকায় বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা একটি মদের দোকানের মালিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি ফেসবুকে এই অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় শহরজুড়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, দোকান খোলার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে চেয়ারম্যান তাঁর কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। চুক্তি মতো তিনি ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। দোকান খুললে আরও ৫লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান তাঁর দোকান খোলার কোনও ব্যবস্থা করে দেননি। তিনি বিষয়টি নবান্ন ও শুভেন্দুবাবুকেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান অবশ্য এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, দলের নেতা তথা পুরসভার কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরী তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই চক্রান্ত করেছেন। দেবাশিসবাবু তাঁর ঘনিষ্ঠ এক কর্মীকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন।
এব্যাপারে জেলা সভাপতি বলেন, চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি বিষয়টি শুভেন্দবাবুকে জানিয়েছি। তিনিই দেখবেন।
চেয়ারম্যান বলেন, আমি দলকে কী জানিয়েছি তা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সবটা সংবাদমাধ্যমকে বলা যাবে না। তবে, আমি দলের কাছে এর বিচার চাই। আমি বলেছি, দল তদন্ত করে দেখুক। প্রয়োজনে আমাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তাতেও আমি রাজি আছি। কিন্তু, যেভাবে দলেরই নেতা মিথ্যা অভিযোগ আনার চক্রান্ত করেছেন, তার বিচার হওয়া দরকার। এরকম চললে আগামীদিনে দল করা যাবে কি না চিন্তা করতে হবে। তিনি এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করেন, খড়্গপুর শহরের কোনও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আমি কোনওদিন কোনও টাকা নিইনি। মিথ্যা অভিযোগ তুললে তা কোনওদিন মেনে নিতে পারব না। দলকেই এর বিচার করতে হবে। প্রদীপবাবু অবশ্য বলেন, এদিন কাউন্সিলারদের কোনও মিটিং ছিল না। কাউন্সিলাররা নিজেরাই তাঁর কাছে এসে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এক কাউন্সিলার বলেন, এই আলোচনা করে ঠিক হয়েছে, চেয়ারম্যান বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন। জেলাশাসককেও জানানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, এদিন সকালে স্থানীয় কিছু মহিলা ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডও ছিল। তাঁরা অবিলম্বে এই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী নন্দন মিত্র বলেন, এদিন আমি সকাল থেকে বাড়িতে ছিলাম না। বাড়ির লোক খবর দেয় যে, বাড়ির সামনে কিছু মানুষ জমা হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।