বিএনএ, শিলিগুড়ি: দার্জিলিং পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় শিলিগুড়িতে ফুলেফেঁপে উঠেছে মহানন্দা নদী। নদীর জলস্তরের উচ্চতা দেড় মিটার উপরে উঠলেই বিপদসীমা অতিক্রম করবে। এদিকে, মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় শিলিগুড়ি শহর ও শহরতলির কিছু নীচু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। এমনকী শহরের একটি এলাকা ফুলেশ্বরী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। পাম্প চালিয়ে সেই এলাকা থেকে নদীর জল বাইরে বের করে পুরসভা। অন্যদিকে, বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্ধার কার্য চালাতে চারটি স্পিড বোট নিয়ে মহকুমায় ঘাঁটি গেড়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এরজেরেই মহকুমার উপর দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা, চামটা, বালাসন, পঞ্চনই নদীতে জলস্তর বেশ কিছুটা বেড়েছে। সেচদপ্তর জানিয়েছে, শিলিগুড়ি শহরে মহানন্দা নদীর বিপদসীমার ১১৫.৯৭৫ মিটার। বুধবার সকালে জলস্তর ছিল ১১৪.৪ মিটার। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেশ্বর বলেন, মহানন্দা সহ বিভিন্ন নদীর গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখা হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, দু’দিন ধরেই মহকুমায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের পর বৃষ্টি থামলেও আকাশ মেঘলা ছিল। সেচদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মহকুমায় বৃষ্টির পরিমাণ ১১৫ মিলিমিটার। এর জেরে এনজেপি স্টেশন চত্বর, অম্বিকানগর আন্ডারপাস, ডাবগ্রাম-২ ব্লকের মাঝাবাড়ি প্রভৃতি এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে যায়। বিকালের দিকে অবশ্য জল নেমে যায়। শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরতকলোনি, দেবাশিস কলোনিতে ফুলেশ্বরী নদীর জল উঠে যায়। পাম্প চালিয়ে তা বাইরে বের করা হয়। পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য (জঞ্জাল) মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, কিছু এলাকায় জল জমেছিল। তা নেমেও গিয়েছে।