আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
অন্যদিকে, ধৃত এএসআই আশিস চন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। শিয়ালদহ রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ৪ জুলাই সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ আরপিএফের কনস্টেবল সুনীল সিংয়ের সঙ্গে মিলিতভাবে শিয়ালদহ জিআরপি থানা এলাকার বিধাননগর রেল সাইডিংয়ের কাছে নদীয়ার ধানতলার বাসিন্দা মধুসূদন মজুমদারের থেকে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ছিনতাই ও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহ রেল পুলিসের সুপার অশেষ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে ওই মামলায় আমরা ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছি।
শহরের বুকে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের মুখে ছবিঘর সিনেমা হলের সামনে মহাত্মা গান্ধী রোডের মতো জমজমাট এলাকায় ভরদুপুরে এই ডাকাতি ও অপহরণের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন ১, নদীয়ার বাসিন্দা বাবলু নাথের ব্যাগে নগদ এক লক্ষ টাকা ও ৫০ গ্রাম সোনা রয়েছে, তা ডাকাত দল জানল কী করে? কে সেই ব্যক্তি, যে ডাকাত দলকে এত নিখুঁত তথ্য পৌঁছে দিল? প্রশ্ন ২, মুচিপাড়ায় ডাকাতি ও ২০১৪ সালে শিয়ালদহ জিআরপি এলাকায় সেই ছিনতাই—দুটি ক্ষেত্রেই অপরাধের শিকার হয়েছিলেন নদীয়ার বাসিন্দারা। বারবার কেন নদীয়ার বাসিন্দারাই অপরাধের শিকার হচ্ছেন? বিষয়টি নিছকই কাকতালীয়? নাকি অন্য কিছু?
তদন্তকারীদের এক সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণত, নদীয়া থেকে লোকাল ট্রেনে করে শিয়ালদহ আসার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা প্রতি বৃহস্পতিবার অটোয় চেপে বড়বাজারের সোনাপট্টিতে যাতায়াত করে থাকেন। তবে কি এই অটো স্ট্যান্ডের কেউ তথ্য জোগাচ্ছে দুষ্কৃতীদের। নাকি কোনও ব্যবসায়ী পেশাদারি আক্রোশ মেটাতে খবর পাচার করছে দুষ্কৃতীদের? তবে গোয়েন্দা প্রধান বলছেন, এই ডাকাত দলের সদস্যদের কাউকে ছাড়া হবে না। মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা হেফাজতে রেখে এই মামলার বিচার চালাতে চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে বেলঘরিয়ার রথতলার বাসিন্দা তথা কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ধৃত এএসআই আশিস চন্দ্রের বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছেন। মেয়ে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তবে স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে শিয়ালদহে ছিনতাই ও প্রতারণায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগে রেল পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় সেবার জেল খাটতে হয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগের এই এএসআইকে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুটি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় এই অফিসারের।