আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরপরই এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে পাল্টা আবেদন করেন স্পিকার। বৃহস্পতিবারই সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে নির্দেশ জারি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানান। যদিও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর আদালত ফের বসার পর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সকালে নির্দেশ জারি করা হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল বিদ্রোহী বিধায়কদের আবেদনের সঙ্গে স্পিকারের আবেদন শোনা হবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পর মুম্বইয়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বিদ্রোহী বিধায়করা জানান, আদালতের কথা মতো তাঁরা স্পিকারের কাছে নতুন করে ইস্তফাপত্র পেশ করবেন। উল্লেখ্য, স্পিকারের যুক্তি ছিল ইস্তফাপত্র উপযুক্ত নিয়ম মেনে পেশ করা হয়নি। সেই সূত্রেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সন্ধ্যা ৬টায় ওই বিধায়কদের দেখা করার সুযোগ দিতে হবে স্পিকারকে। ইস্তফা নিয়ে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এদিনও গোটা ঘটনায় বিজেপির যোগ থাকার কথা প্রকাশ্যে অস্বীকার করেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা। তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন। তবে এখনও কংগ্রেসেই রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মত, দলত্যাগ বিরোধী আইনে স্পিকার যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে না পারেন, সেই লক্ষ্যেই বিদ্রোহী বিধায়কদের এই অবস্থান। বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্যতম বি এ বাসবরাজা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে ইস্তফা পেশ করার নির্দেশ দেওয়ায় আমরা কর্ণাটক ফিরছি। আমাদের সিদ্ধান্তে কোনও বদল হয়নি।
সঙ্কটের এই আবহে এদিন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর নেতৃত্বে বৈঠক হয় কর্ণাটক মন্ত্রিসভার। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় সম্মিলিতভাবে বুক চিতিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, সরকারের যে কোনও বিপদ হবে না, সে বিষষে তিনি আত্মবিশ্বাসী। বিজেপি যদি অনাস্থা প্রস্তাব আনে, তবে তার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর জোট সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়াতে এদিন বিধানসভায় বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। কর্ণাটকের বিরোধী দলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অবিলম্বে সরে দাঁড়াতে হবে কুমারস্বামীকে। কারণ তাঁর সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। একটা সময় জল্পনা শুরু হয়, এদিনই ইস্তফা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও পরে কুমারস্বামী জানিয়ে দেন, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন আমার ইস্তফা দেওয়া উচিত? এখনই আমার ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজন কী? কুমারস্বামীর পাল্টা মন্তব্য, ২০০৯-১০ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিরোধিতা করেছিলেন ১৮ জন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীও ছিলেন। তখন ইয়েদুরাপ্পা কেন ইস্তফা দেননি?