আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের যে হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়করা ঘাঁটি গেড়েছেন, সেখানে যাওয়ার সময়েই ঘটনাটি ঘটে। আপাতত পাওয়াইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে রয়েছেন কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা। রাজ্যের জোট সরকারকে বাঁচাতে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বইয়ে যান কংগ্রেসের ‘মুশকিল আসান’ শিবকুমার। তিনি পৌঁছনোর আগেই বিলাসবহুল হোটেলের সামনে ভিড় করেন রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। সকাল ৮.২০ মিনিটে কংগ্রেস নেতা সেখানে পৌঁছতেই ‘শিবকুমার গো ব্যাক’ বলে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। হোটেল গেটের বাইরে একটি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়েই শিবকুমারকে কার্যত জোর করে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আটক করে মুম্বই পুলিস। হোটেলে রিজার্ভেশন রয়েছে বলে দাবি করলেও শিবকুমারের কথায় পরিস্থিতি বদলায়নি। পুলিসের তরফে শিবকুমারকে জানানো হয়, তাঁর উপস্থিতিতে নিজেদের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করে পুলিসকে চিঠি দিয়েছেন কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা। সেই কারণেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। যদিও জেডিএস বিধায়কদের সঙ্গে নিয়েই শিবকুমার দাবি করেন, তিনি শান্তি চান। বিদ্রোহী বিধায়কদের হুমকি দেওয়ার কোনও মতলব নেই তাঁর। তিনি শুধু তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান। শিবকুমার বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা অস্ত্র নেই। আমি শুধুমাত্র আমার বন্ধুদের সঙ্গে বসে কফি খেতে চাই। যদি বিজেপি এর মধ্যে যুক্ত না থাকে, তবে কেন আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না?’ দীর্ঘক্ষণ হোটেলের বাইরে অপেক্ষা করলেও তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে পাঁচিলের পাশে বসে থাকা কংগ্রেস নেতাকে জানানো হয় হোটেলের তরফে ‘জরুরি পরিস্থিতিতে’ তাঁর বুকিং বাতিল করা হয়েছে। শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক হন দুই কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা এবং মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নাসিম খান। তাঁদের তিনজনকেই বিকেসি পুলিস অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মুম্বই পুলিসের তরফে তাঁকে বেঙ্গালুরুতে ফেরত পাঠানো হয়। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্যুইট করে মিলিন্দ দেওরা জানান, পুলিস রীতিমতো জোর করে শিবকুমারকে বেঙ্গালুরুতে ফেরত পাঠিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, বিদ্রোহী ১২ জন বিধায়কের মধ্যে ১০ জন শিবকুমারের উপস্থিতিতে নিজেদের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করে মুম্বই পুলিসকে চিঠি দেন। এর পরেই হোটেল সংলগ্ন এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে পুলিস। বিলাসবহুল রেনেসাঁ হোটেলটি কার্যত একটি দুর্গে পরিণত হয়।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটক সরকার থেকে পদত্যাগ করার পর শনিবার কংগ্রেসের সাতজন, জেডিএসের তিনজন এবং দু’জন নির্দল বিধায়ক মুম্বই শহরের বাইরে এই বিলাসবহুল হোটেলে এসে ওঠেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বা কংগ্রেস নেতা শিবকুমারের সঙ্গে কোনওরকম দেখা করতে আগ্রহী নন বলেও জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়করা।