আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
বৈঠকে রাহুল বলেন, ‘আমেথির উন্নয়ন থমকে যাবে না। আমি এখন কেরলের ওয়ানাড়ের সাংসদ। তবে আমেথির সঙ্গে আমার তিন দশকের সম্পর্ক। আমেথির জন্য আমি দিল্লিতে লড়ব।’ তাঁর পরাজয়ের জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকে দায়ী করলেও সাধারণ নেতা কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসাই করেছেন রাহুল। রাহুলের মতে স্থানীয় নেতারা জন বিচ্ছিন্ন হওয়াতেই আমেথিতে কংগ্রেসকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। সূত্রের খবর, আমেথির অন্তর্গত পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র— সালোন, আমেথি, গৌরীগঞ্জ, জগদীশপুর এবং তিলোইয়ের কর্মী এবং বুথ প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে রাহুল প্রায় ৫০ মিনিট বৈঠক করেছেন।
বুধবার আমেথি পৌঁছে তিলোই বিধানসভার কংগ্রেসের ইনচার্জের বাড়িতে যান। তাঁর এক আত্মীয়ের প্রয়াণে সমবেদনা জানান রাহুল। পরে তিনি গৌরীগঞ্জে দলীয় অফিসে বৈঠক সারেন। তবে আমেথিতে হেরে গিয়েও নিস্তার নেই রাহুল গান্ধীর। এখনও নানা অব্যবস্থার জন্য রাহুলকেই দায়ী করছেন আমেথির মানুষজন। আর তারই প্রতিফলন ঘটেছে একাধিক পোস্টারে। সেই পোস্টারগুলিতে রাহুলের কাছে ন্যায়ের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘ন্যায় দাও, ন্যায় দাও। দোষীদের শাস্তি দাও। আমেথির সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে কেউ বেঁচে ফেরে না। রাহুল গান্ধী জবাব দাও।’ উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনস্থ আমেথির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় নানহে লাল নামে এক ব্যক্তির। রাহুল গান্ধী এই ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি। নানহে লালের পরিবারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য যোজনা আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকার জন্য তাঁকে ভর্তি নিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেরিতে ভর্তি নেওয়ার জন্যই নানহেকে মরতে হল বলে পরিবারের অভিযোগ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর আমেথি সফরের আগে এই ধরনের পোস্টার স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের অস্বস্তির কারণ হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার ঝুলিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে বিজেপিই এই পোস্টার দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র অনিল সিং বলেছেন, ‘এখন স্মৃতি ইরানি এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এই ধরনের কাজ বিজেপি আগেও করেছে।’
এরমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের জনপ্রিয়তা অন্য উচ্চতায় পৌছল। ট্যুইটারে এক কোটি ফলোয়ারের মাইল স্টোনে পৌঁছে গেলেন রাহুল। এরজন্য তিনি ফলোয়ারদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন। বুধবার সাতসকালেই রাহুল এই নিয়ে ট্যুইটে লেখেন, ‘১০ মিলিয়ন ট্যুইটার ফলোয়ার- আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। আমি আমেথি গিয়ে কংগ্রেসকর্মীদের সঙ্গে এই সুখবর উদযাপন করব।’ গত বছরই ট্যুইটারে ফলোয়ারের নিরিখে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন রাহুল। শশীর ট্যুইটারে ফলোয়ার ৬৯ লক্ষ। তবে ট্যুইটারে ফলোয়ারের দিক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে ঢের পিছিয়ে রয়েছেন রাহুল। মোদির ফলোয়ার রয়েছেন চার কোটি ৮০ লক্ষ।