আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকেলে লেকটাউন থেকে ইএম বাইপাস গামী উড়ালপুলের কেষ্টপুর খালের ধারে একটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়। সেই ফাটল সম্পর্কে রিপোর্ট করেন কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা। এরপরেই সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা থেকে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ উড়ালপুলের দু’দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তাতে যানযন্ত্রণায় ভুগতে হয় মানুষকে। এদিন সকালে কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখেন। কিন্তু ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির কনসালট্যান্ট অমিতাভ ঘোষাল, সমীরণ সেনরা না পরীক্ষা করা পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তাঁরা দিল্লিতে রয়েছেন। তাঁদের তড়িঘড়ি কলকাতায় আসতে বলা হয়। এদিন সন্ধ্যায় তাঁরা আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিজটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অতীতের খারাপ অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষজ্ঞরা মতামত না দিলে ব্রিজটিতে গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে না বলে কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ, কেএমডিএ’র ঘাড়ে এখনও পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার দায় রয়েছে। তাই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেবে না কেএমডিএ। এছাড়াও মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ব্রিজগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএমডিএ এবং পূর্ত দপ্তর। কেএমডিএ’র আটটি ব্রিজের স্বাস্থ্য ভালো নয় বলে ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটি রিপোর্ট করেছিল। সেই সব ব্রিজের মেরামত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেশাদার সংস্থাকে। এরই মধ্যে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে গোটা উত্তর কলকাতা, উত্তর পূর্ব কলকাতা, সল্টলেক এলাকায় যান চলাচল একেবারে ঘেঁটে গিয়েছে। যানজটে জেরবার সাধারণ মানুষ। উল্টোডাঙা স্টেশনগামী মানুষের যেমন দুর্ভোগ হয়েছে, তেমনি সল্টলেকে যাওয়া মানুষদেরও খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এর সুযোগে কাজে লাগান অটোচালকরা। ভিআইপি রোডে এবং সল্টলেকগামী অটোচালকরা যেমন খুশি ভাড়া চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যেখানে ১০ টাকা ভাড়া, সেখানে ৩০, ৪০ এমনকী ৫০ টাকাও নেন অটোচালকরা। এদিন দিনভর মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। উল্টোডাঙা থেকে সল্টলেকের বিকাশ ভবনে যেতে সাধারণত ২০ মিনিট সময় লাগে। সেই পথ পেরতে এদিন এক ঘণ্টা লেগে যায়। সকাল-সন্ধ্যার অফিস টাইমে হাডকো মোড় থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। একই অবস্থা হয় উল্টোডাঙা ঘিরে থাকা প্রতিটি রাস্তাতেই। আজও এই দুর্ভোগ পোয়াতে হবে শহরবাসীর।