আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
বুধবার সকালে ব্রিজ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ ঘোষাল, সমীরণ সেনরা উড়ালপুলটি খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন কেএমডিএ’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ কর্তাব্যক্তিরা। মুম্বই থেকেও ব্রিজ বিশেষজ্ঞরা এসেছিলেন। ভাইব্রেটর দিয়ে উড়ালপুলের সবক’টি পিলার খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাটলটি তেমন গভীর নয়। পিলারের বাইরের অংশে হয়েছে। উদ্বেগের তেমন কিছু নেই। তবে আরও পরীক্ষার জন্য পিলারের কংক্রিটের অংশ গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। পিলারগুলিকে প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য ক্রপ (লোহার গার্ড) লাগাতে হবে। তবে এয়ারপোর্টমুখী লেনে গাড়ি চলাচল করলেও বাইপাসমুখী লেনে এখনও গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তার মেরামতির দরকার। পরে ওই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য এবং পুরসচিব সুব্রত গুপ্ত। বৈঠকের পরে পুরমন্ত্রীকে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট জানানো হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টালের জন্য উড়ালপুলের একটি লেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে লেকটাউন থেকে ইএম বাইপাস গামী উড়ালপুলের কেষ্টপুর খালের ধারে একটি পিলারে ফাটল দেখা যায়। সেই ফাটল সম্পর্কে রিপোর্ট করেন কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা। এরপরেই সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা থেকে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ উড়ালপুলের দুদিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে যানযন্ত্রণায় ভুগতে হয় পথচলতি মানুষকে। কেএমডিএ’র ঘাড়ে পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার দায় থাকায় যান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেয়নি তারা।
উড়ালপুল বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবারও দিনভর চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। কেএমডিএ’র ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির বিশেষজ্ঞরা বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে আসেন। মুম্বই থেকে আসেন ব্রিজ বিশেষজ্ঞরা। এদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্রিজটি তাঁরা পরীক্ষা করেন। তাঁদের মতামত নিয়েই ব্রিজটি মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যস্ত এই উড়ালপুল বন্ধ থাকায় বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের নিউটাউনের রাস্তা ধরার জন্য পুলিসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানিয়ে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড় থেকে কিছু গাড়িকে নিউটাউন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে গোটা উত্তর পূর্ব কলকাতা ও সল্টলেকে ঢোকার মুখে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা যানজটে জেরবার সাধারণ মানুষ। উল্টোডাঙা স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়া মানুষকে বাসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তেমনই আবার সল্টলেকে যাওয়া মানুষের খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আর মওকা বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন অটোচালকরা। এদিন দিনভর মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। সকালে দিকে ১০ মিনিটের পথ পেরতে আধঘণ্টা লেগে যায়। সকাল-সন্ধ্যার অফিস টাইমে হাডকো মোড় থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। একই অবস্থা হয় উল্টোডাঙা যাওয়ার প্রতিটি রাস্তাতেই। আরও কিছুদিন লেকটাউন থেকে বাইপাসগামী পথে এই দুর্ভোগ পোয়াতে হবে শহরবাসীকে।