আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
পিএইচই’র মালদহ জেলার সদর মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উত্তরা সাহা বলেন, বামনগোলার রামনগরে জল প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরির কাজ আমরা প্রায় শেষ করে ফেলেছি। পাইপ লাইন বসানো হয়ে গেলেই জল প্রকল্প চালু করে দেওয়া যাবে। আমরা এনিয়ে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছি। পুজোর আগে যাতে প্রকল্পটি চালু করা যায় সেজন্য দপ্তরের তৎপরতা চলছে। এর আগে যে এজেন্সি পাইপ লাইন বিছিয়ে দেওয়ার বরাত পেয়েছিল তারা কাজ করতে পারেনি। আমরা ফের টেন্ডার করে কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বামনগোলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দ্বিজেন মণ্ডল বলেন, রামনগরে জল প্রকল্প চালু হলে এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে। কারণ এলাকায় জলকষ্ট রয়েছে। আমরা চাইছি দপ্তর যে উদ্যোগ নিচ্ছে তা দ্রুত বাস্তবায়িত করুক।
বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপির উৎপল সরকার বলেন, ব্লকের মূল সমস্যাই হল পানীয় জলের অভাব এবং ভাঙা রাস্তাঘাট। পিএইচই’র জল প্রকল্প তৈরি হয়েও চালু করা যায়নি। যেকারণে মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেনা। রামনগরে জল প্রকল্প চালু করে ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ করলে সার্বিকভাবে এলাকায় জলের সমস্যা মিটবে।
বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর, মহেশপুর এবং চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানাবর্তী এলাকা রামনগরে পিএইচই’র জল প্রকল্পটি তৈরি করা হচ্ছে। জল প্রকল্পে ওভারহেড ট্যাঙ্ক হয়ে গিয়েছে। পাম্প হাউস বানিয়ে সেখানে মোটর বসিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ করা গিয়েছে। যদিও এখনও গ্রামে পাইপ লাইন বসানো হয়নি। সেজন্য জল প্রকল্পটি চালু করা যায়নি। পিএইচই’র দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগরে জল প্রকল্পে চালু করার জন্য পাইপ লাইন বসানোর রি-টেন্ডার করা হচ্ছে। নতুন কোনও এজেন্সি বরাত নিয়ে পাইপ লাইন বসাবে। পুজোর আগেই গ্রামগুলিতে পানীয় জল যাতে সরবরাহ করা যায় সেনিয়ে দপ্তরের কর্তারা উদ্যোগ হয়েছেন। এটি হয়ে গেলে বামনগোলা, রামনগর, চাঁদপুর, গোবিন্দপুর, মহেশপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল প্রকল্প চালু হয়ে গেলে প্রায় ১৫-২০ হাজার গ্রামবাসী দু’বেলা পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন।