আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এখন লেখাপড়ার জগতে স্পটতই দুটি ভাগ দেখতে পাই। একদিকে যেমন আছে কিছু মানুষ যাঁরা ছাত্র-ছাত্রীর চয়েস বেসিক এডুকেশনে জোর দিচ্ছেন, যেটা নিয়ে পড়তে ভালো লাগবে সেটাই বেছে নেওয়া উচিত। অন্য পক্ষ বলছে যেটায় কেরিয়ার প্রসপেক্ট ভালো সেটা নিয়ে পড়লে চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকা সম্ভব। আপনি কোন ধারণায় বিশ্বাসী?
আমার হাতে যদি স্বাধীনতা থাকত তাহলে আমি বলতাম দুটোই দরকার। একটা ‘এডুকেশন ফর লাইফ’ আর একটা ‘এডুকেশন ফর লাইফলিহুড’। যার যে বিষয় প্যাশন আছে, সেটা নিয়ে যেমন তার এগনো দরকার। ঠিক সেভাবেই নিজের এবং পরিবারের জন্য টাকা রোজগারটাও চাই। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সিলেবাসে দুটো দিক থাকা জরুরি একটা মেজর দিক আর একটা মাইনর দিক। মেজরের মধ্যে থাকবে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল সায়েন্স, নার্সিং, ম্যাথমেটিক্স ইত্যাদি। মানে যে বিষয় চাকরি আছে। আর অন্যদিকে কেউ হয়তো আঁকতে ভালোবাসে সে পাশাপাশি সেই ভালোলাগার কাজটাও করুক। নয়তো শুধু জীবনধারণের জন্য পড়ে এবং সে বিষয় চাকরি করে একদিন সে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। চল্লিশের পর গিয়ে আর চাকরি করতে ভালো লাগবে না, ডিপ্রেসড লাগবে। তাই আমার মনে হয় প্যাশন এবং জীবনধারণ এ দুটিকে আলাদা আলাদা ভাবে চর্চা করলে দুটোই থাকবে।
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিককে বলা হয় কেরিয়ার নির্বাচনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ, যেখানে সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া এবং বিষয় নির্বাচন দরকার। কিন্তু একজন পড়ুয়ার মন তখনও পরিণত হয়ে ওঠে না, তাই তারা মূলত মা-বাবা কিংবা শিক্ষকের নির্বাচন করে দেওয়া বিষয় নিয়েই পড়তে শুরু করে, যা ভবিষ্যতে তাদের কেরিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে। এমতাবস্থায় একজন ছাত্র-ছাত্রীর কী করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?
প্রথমেই বলব, সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে একটু ফিল্ড রিসার্চ করতে হবে। অর্থাৎ তার পাড়া কিংবা অঞ্চলের পরিচিত কিছু দাদা দিদির (২৫-৪০ বছর বয়সি) সঙ্গে কথা বলে তাদের জানতে হবে যারা আর্টস নিয়ে পড়েছে তারা কেমন আছে আবার একইভাবে যারা সায়েন্স নিয়ে পড়েছে তারা কেমন আছে। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং এসব নিয়ে পড়ে ভবিষ্যতে তাদের কেরিয়ার গ্রাফ কোথায় গেছে। কিংবা সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস নিয়ে পড়েই বা তারা কেমন আছে, এই সবটা জানতে হবে একজন ছাত্রকেই। যেভাবে আমরা একটা মোবাইল কেনার আগে দুদিন রিসার্চ করে নিই কোন মোবাইলটা কেনা ভালো কোনটা কিনলে বেশিদিন ব্যবহার করা যাবে না, ঠিক সেভাবে এক্ষেত্রেও আমাদের এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে নিজেদের কেরিয়ার বেছে নেওয়ার জন্য। যে কাজটা আমাদের দাদা বা কাকারা করছেন তারা কীভাবে কাজটা করছেন তার জন্য স্কিল কী লাগছে, এসব জানতে হবে। সেটা ভবিষ্যতে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর পক্ষে করা সম্ভব কিনা সেটাও তাকে ভেবে নিতে হবে। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করেও তারা জানতে পারে কুড়ি বছর পর বিভিন্ন সাবজেক্টগুলির অবস্থা কোন জায়গায় থাকবে? কোথায় চাকরি থাকবে আর কোথায় থাকবে না, সেটা জেনে বিষয় বাছাই করলে আরও ভালো ভাবে সে এগতে পারবে।
কিন্তু যারা গ্রামের দিকে থাকে? যাদের হয়তো ইন্টারনেট বা অন্য কোনও সূত্রে খবর পাওয়া সম্ভব না, তারা কী করবে?
এখন মোটামুটি সব জায়গাতে ইন্টারনেট পরিষেবা আছে যদি সেটা না থাকে তাহলে তারা কিছুদিনের জন্য কলকাতা বা মফস্সলের পলিটেকনিক, ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেন স্ট্রিম কলেজগুলোয় যেতে পারে। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পারে যেসব দাদা দিদিরা পড়ছে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন, কেরিয়ার প্রস্পেক্ট কেমন। এটা তো জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত, তাই আমার মনে হয়, এর জন্য একটু সময় দেওয়া উচিত। খুব ভালো হয় যদি কোনও জায়গায় একটা ছোট ইন্টার্নশিপ করা যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করলে ইন্টার্নশালা বলে একটি উইন্ডো পাওয়া যাবে, সেখানে নানা ধরনের ইন্টার্নশিপের খবর পাওয়া সম্ভব। এর সাহায্যে শুধু অন্যের মুখে শুনে না, নিজেরা সেখানে কাজ করে বুঝে নিতে পারবে সেই কেরিয়ারপাথে তাদের এগনো সম্ভব কিনা। আর অবিভাবকের গুরুত্ব এখানে অনেকটা। যদিও বাবা-মা প্রথমের দিকে কিছুটা হলেও ভয়ে থাকেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা নিজেরা ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বা সেরকম কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত নন, কিন্তু সেই ভয়টা কাটিয়ে বাবা-মা কেও ছেলে-মেয়ের কেরিয়ার নিয়ে ভেবে একটু শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। তাদেরকেও তথ্য জোগাড় করতে হবে এবং প্রয়োজনে ছেলে মেয়েকে সাহায্য করতে হবে।
এবার সাবজেক্ট স্পেসিফিক প্রশ্ন করব। এই যে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স কিংবা কারিগরী শিক্ষা— এই প্রচলিত শিক্ষার বাইরে যে রাস্তাগুলি এখনও অপ্রচলিত, খুব কম ছাত্র বা ছাত্রী জানে কিন্তু চাকরির সুযোগ আছে, সেগুলি কী?
দেখুন, এখন বেশ কিছু নতুন প্রস্পেক্ট খুলেছে যেটা হয়তো সেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বলা হয় সেভাবে চাকরি নেই, কিন্তু সে তথ্য ঠিক নয়। সঠিক তথ্য থাকলে দেখা যাবে আমাদের দেশে সবথেকে বড় ক্ষেত্র কৃষি। যেখানে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার সবথেকে কম। পরবর্তী পাঁচ বছরে সেখানে আরও উন্নতি ঘটানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যাকে মানে ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তিকে কৃষির সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে সেটা কেরিয়ার চয়েস হিসেবে খুব ভালো হবে। শহর থেকে গ্রামে এখনও ইঞ্জিনিয়ারিং পৌঁছয়নি। সেই জায়গাটা তৈরি করতে হবে। ডিজিটালি গ্রামের মানুষকে উন্নত করা ই-ট্রেডিং বা ই-কমার্স চালু করা যেতে পারে। এখানে মার্কেটিংয়ের ছাত্র বা ছাত্রীদেরও বেশ ভালো সুযোগ থাকছে। আবার যারা আর্টসে যেতে চায় তাদের জন্য শিক্ষকতা, ব্লগ লেখা কিংবা মিডিয়ায় সুযোগ আছে। আবার অন্যরকম ভাবে ভাবলে এসএমই বা স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা নানা ক্ষেত্রে হতে পারে। চীনের অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়ার মূল কারণ কিন্তু এই এসএমই। নিজেরা যদি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে, তাহলে একাধারে যেমন ব্যবসার নানাক্ষেত্র তৈরি হবে, তেমন আবার সেই ব্যবসায় নিয়োগের জন্য লোক লাগবে ফলে সেখানেও চাকরির জায়গা তৈরি হবে।
যারা একেবারেই মেন স্ট্রিম এডুকেশন বেছে নিতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কতটা?
একটি কেরিয়ারপাথ-এ একবার প্রবেশ করে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে। যেটা আগেও বললাম। মেইন স্ট্রিম এডুকেশন অবশ্যই ভালো। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে দেখতে হবে, দু-তিন বছর বাদে সেভাবে কোনও শিক্ষকতার জায়গা খুলবে কিনা। বা অন্য কোনও জায়গায় চাকরি আছে কিনা। তাহলে যে বিষয় নিয়েই পড়ুক, তাদের কাছে সেই লাইনে এগনোটা অনেক সুবিধার হবে। স্টেপ বাই স্টেপ এগলে প্ল্যান করা সুবিধা। বিশেষ করে পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট বিষয় কতটা সুযোগ আছে, সেটা নিয়ে রিসার্চ করে এগনো ভালো।
তাতে ছাত্র ছাত্রীর মনে হতাশা আসবে না। বরং লক্ষ্য স্থির রেখে এগনো সম্ভব হবে। তবে আবারও বলব সায়েন্স বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে সরাসরি চাকরি পাওয়ার চান্স কিছুটা হলেও বেশি থাকে এবং সেখানে দরকারে টিউশন পড়িয়ে রোজগার করার সম্ভাবনা বেশি।
সরকারি চাকরি করার স্বপ্ন অনেক ছাত্র ছাত্রী দেখে থাকে, কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না কারণ সরকারি চাকরির পরিমাণ খুব কম, এখনও কী সেরকম কোনও জায়গা আছে, সরকারি চাকরিতে যেখানে যে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী প্রবেশিকা দিতে পারে?
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি, অঙ্ক, অ্যাপ্টিটিউড এবং জেনারেল নলেজ-এ জ্ঞান থাকা খুব জরুরি। সেটা যে কোনও রকম সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই দরকারি। এক্ষেত্রেও সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে সাফল্যের পরিমাণ বেশি। সেখানে চাকরি পেলেও দরকার সায়েন্সের নলেজ। তাছাড়া সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বলব গ্রুপ ডি এবং সি-লেভেলের সবটাই আউট সোর্সিং হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে লোকের সরকারি চাকরি করতে চাইত, কাজের নিরাপত্তা এবং বেতন তার কোনওটাই সেরকম মন মতো আর থাকছে না।
এখন বলা হয় পথে ঘাটে ইঞ্জিনিয়ার। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরির সুযোগ আর সেরকম নেই বললেই চলে। এটা কতটা সত্যি?
চাকরির সুযোগ নেই তা নয়। চাকরি হচ্ছে কিন্তু সেই লেভেলের বেতন পাচ্ছে না। প্রথম সারির অনেক ছাত্র ছাত্রী বার্ষিক চার-পাঁচ লক্ষ টাকার স্যালারি স্কেলে কাজ করছে। কিন্তু তার পরের দিকের ছাত্র ছাত্রীরা সেভাবে ভালো চাকরি পাচ্ছে না। এখানে আরও একটা বিষয় ভাবার আছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত জয়েন্টে র্যাঙ্ক করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারত দু হাজার থেকে তিন হাজার পড়ুয়া। এখন তা বেড়ে হয়েছে তিরিশ হাজার। কিন্তু এত স্কোপ তো বাড়েনি যে সবাই চাকরি পেয়ে যাবে। তাও রিসার্চ করলে দেখা যাবে ৩৫% ভালো চাকরি পাচ্ছে, তারপরের ২৫% মধ্যম মানের চাকরি পাচ্ছে। বাকিরা ব্যবসা কিংবা অন্যরকম কোনও চাকরিতে যাচ্ছে।
‘সার্ভাইভাল ওয়ে আউট’ সেভাবে দেখলে আছে অনেক, কিন্তু সবার পক্ষে কী সেই টাকাটা খরচ করা সম্ভব?
কেউ যদি এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় তাহলে প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে সে পড়তে পারে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ আছে ৮৫ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের পড়ার জন্য সরকার থেকে নানা প্রকার স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। মেয়েদের জন্য আলাদা স্কলারশিপ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই কারুর যদি সত্যি পড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে সরকারি সাহায্যে এবং টিউশন পড়িয়েও সে লেখাপড়া চালাতে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটি বিষয় নিয়ে পড়তে আরম্ভ করলেও পরে সেই বিষয়টা খারাপ লাগায় সে অন্য পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। এটা কতটা গ্রহণযোগ্য?
আমাদের শিক্ষার প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন দরকার বলে আমি মনে করি। আমাদের সরকারের তরফে রিসার্চ করে তথ্য জানানো উচিত ছাত্র ছাত্রীদের যে কোথায় কত চাকরির সুযোগ আছে। তাহলে বিষয় বাছাই করতে ছাত্র-ছাত্রীর সুবিধা হবে। যেমন না রিসার্চ করেই বলে দেওয়া যায় নার্সিংয়ে একশো শতাংশ চাকরি আছে। মেডিক্যাল সেক্টরে চাকরির অভাব নেই। কেউ যদি এই লাইনে থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হবে না। ঠিক সেভাবে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কিংবা টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে পড়ে খুব একটা কাউকে সিফট করতে হয়নি। কিন্তু এই রিসার্চটা সরকারের তরফ থেকে শুরু করা উচিত এবং ছাত্র ছাত্রীকে বর্তমান চাকরির বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা উচিত। এছাড়া চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম করা যেতে পারে। যেখানে যে কোনো বিষয় নিয়ে পড়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়া যায়। বিষয় সেখানে একাধিক থাকতে পারে। অথবা সায়েন্স থেকে আর্টস কিংবা আর্টস থেকে সায়েন্সে যাওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হয়। এটা বিদেশে থাকলেও ভারতে এখনও সেভাবে নেই।
সম্প্রতি কথা উঠছে শিক্ষায় প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ের যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে, তাতে ক্ষতি হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীর – এ বিষয় আপনার কী মত।
এখানে আমার মনে হয় শুধু অভিভাবকের নয় সরকারেরও কিছুটা ভুল আছে। আমাদের এখানে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত নয়। কারণ এখানে মাধ্যমিক পর্যন্ত থিওরির ওপর জোর দেওয়া হয় যা অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আনন্দ দেয় না।
বাঁদর তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে কতটা উঠল কিংবা নামল বা পাতকুয়োর তিনটে নলের মধ্যে দিয়ে জল কীভাবে ঢুকছে বেরোচ্ছে, সেই শিক্ষা তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগে না। ফলে তারা সেই শিক্ষার সঙ্গে নিজেদের একাত্মবোধ করতে পারে না। গ্রামের ছেলেদের আজ যদি কৃষি বিদ্যা নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়, সেটা তাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে। তারা বাবাকে কী সার ব্যবহার করা যায় সেই নিয়ে যেমন জানাতে পারবে, তেমন কৃষিতেই আরও ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করার উপায়গুলি খুঁজে পাবে। তাই আমার মনে হয় শিক্ষার আরও অনেক বেশি বাস্তবায়ন দরকার। তাকে আরও আনন্দের, আরও প্রয়োজনের করে তোলা দরকার। তবেই বাচ্চারা সেটাকে আর প্রতিযোগিতা মনে করবে না, শেখার আনন্দেই শিখবে।
সাক্ষাৎকার: কৌশানী মিত্র