আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ওষুধ প্রস্তুত করা এবং জীবের শরীরে প্রয়োগ করার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেই ফার্মাসি বলা যায়। স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এবং রসায়ন বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটায় এই ফার্মাসি। বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির বিবর্তন ওষুধ শিল্পে নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। যার ফলে নতুন নতুন ওষুধ এর পাশাপাশি জীবের শরীরে তার প্রভাব কেমন হতে পারে সেটাও দেখে নেওয়া যায়। স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এবং রসায়ন বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটায় এই ফার্মাসি। বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির বিবর্তন ওষুধ শিল্পে নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। যার ফলে নতুন নতুন ওষুধের পাশাপাশি জীবের শরীরে তার প্রভাব কেমন হতে পারে সেটাও দেখে নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়াটির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন ওষুধ তৈরি, ওষুধের কোয়ালিটি কন্ট্রোল, প্যাকেজিং, কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সহ বিভিন্ন বিষয়।
ওষুধ শিল্পের সামগ্রিক উন্নতিতে এ রাজ্যেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে। শিল্পের পাশাপাশি ওষুধ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগও তৈরি হয়েছে এরাজ্যে।
এ রাজ্য থেকে ফার্মাসির উপর চার বছরের ব্যাচেলার অব ফার্মাসি, দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাসিউটিক্স), দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যানালিসিস অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স), দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাকোলজি), দু’বছরের মাস্টার অব ফার্মাসি (ফার্মাকোলজি অ্যান্ড টক্সিকোলজি) এবং দু’বছরের ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি পড়া যায়।
ব্যাচেলর অব ফার্মাসি কোর্সটি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্বীকৃত এবং এআইসিটিই অনুমোদিত কোর্স। এর জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও জীববিদ্যা নিয়ে পাশ করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে হয়। বা এআইইই উত্তীর্ণ হতে হয়।
এমফার্ম পড়ার জন্য বিফার্ম পাশ করতে হবে এবং জিপিএটি স্কোর থাকলে প্রতিষ্ঠানে সরাসরি প্রবেশ করা যায় । যদি এই স্কোর না থাকে তবে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরীক্ষায় বসতে হয়। এমফার্ম কোর্সটি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্বীকৃত।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সহায়তায় দু’বছরের ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও জীববিদ্যা নিয়ে প্র্যাক্টিক্যাল এবং থিওরিটিক্যালে পাশ করতে হবে। এই চারটি বিষয়ের মোট নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় হোমিওপ্যাথি ফার্মাসিও পড়ে নেওয়া যায়। রাজ্যের কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি মেডিসিন স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি ফার্মাসি পড়ানো হয় বিভিন্ন কলেজে। এটি এক বছরের সার্টিফিকেট কোর্স।
প্রায় সব কোর্সগুলিতে থাকে হিউম্যানেটিস, ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যানালিসিস, রিমেডিয়াল ম্যাথমেটিক্স বা বায়োলজি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্স, অ্যাডভান্সড ম্যাথমেটিক্স, ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্স, ফিজিওলজি, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, হেলথ এডুকেশন, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ফার্মাসি সহ বিভিন্ন বিষয়।
ফার্মাসি নিয়ে পড়ে কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি, হসপিটাল, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। এখানে প্রোডাকশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের মতো কাজ করতে হয়। এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং কেমিস্ট, রিসার্চার, ড্রাগ ইনস্পেক্টর, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হেলথ কেয়ার কনসাল্ট্যান্ট বা রোগীদের জন্য আইনজ্ঞ হওয়া যায়। কাজের সুযোগ রয়েছে কমিউনিটি ফার্মাসি, হসপিটাল ফার্মাসি, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি, ডিফেন্স, কাস্টমস, ব্যাঙ্ক বা বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল সংস্থায়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, মেডিক্যাল প্রোডাক্ট ডিটেলিং এই সমস্ত মার্কেটিং বিভাগে এদেশের নামী কোম্পানিতে ভালো চাকরির সুযোগ রয়েছে।