পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেতে চলেছে হিন্দি ছবি ‘হামসাজ দ্য মিউজিকাল’। সৌম্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ছবিটিতে নায়িকার ভূমিকায় অন্বেষা। পাশাপাশি অবশ্যই আছেন চিরাচরিত চরিত্রেও। সঙ্গীতে সাজানো ছবির এগারোটি গানের মধ্যে নয়টি গানই অন্বেষার লেখা। গেয়েছেনও তিনি। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরও করেছেন দায়িত্ব নিয়ে।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী জোয়া, নিশা আর খনক— তিন বন্ধু ডুয়ার্স বেড়াতে যায়। এই তিন কন্যার জার্নি থেকেই গল্প শুরু। ডুয়ার্সের জঙ্গলাকীর্ণ আলোছায়ায় যা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ‘খনক’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অন্বেষা। বললেন, ‘আমার সঙ্গে মিল-অমিল মিলিয়েই তৈরি হয়েছে চরিত্রটি। মেয়েটি গান গাইতে ভালোবাসে। তবে সঙ্গীত তার পেশা নয়। শখে গান গায়।’ ছোটবেলা থেকেই রিয়ালিটি শো-এর দৌলতে ক্যামেরা অন্বেষাকে ধরলেও, গায়িকা ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন এই প্রথম।
‘হামসাজ’ একটি মিউজিক্যাল ছবি। হলিউডের সিন্ডারেলা, সাউন্ড অব মিউজিক ঘরানার মতো। ছবিতে যাঁরা গান গেয়েছেন তাঁদেরকেই পর্দায় কোনও না কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। ‘মূলত সে কারণেই আমি অভিনয় করেছি’, বলে অন্বেষার দাবি, ‘ভারতীয় ছবির দর্শক নতুনত্বের স্বাদ পাবেন। যেহেতু প্রধান চরিত্রদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই সঙ্গীত শিল্পী, তাই সংলাপ বলতে বলতে তাঁরা অবলীলায় গান গেয়ে উঠতে পেরেছেন। আর সুরকার হিসেবে সিনগুলোকে আমি সেইভাবে ট্রিট করতে পেরেছি।’ অভিনয়টা তাই গায়িকা অন্বেষার ভাষায়, ‘লার্নিং এক্সপিরিয়েন্স। আমার এর চেয়ে ভালো অভিনয় ডেবিউ হতে পারত না।’
ইতিমধ্যেই আরও দুটো ছবিতে অভিনয়ের অফার পেয়েছেন অন্বেষা। তাহলে কি এবার অভিনয়ে ফোকাস করবেন? ‘প্রশ্নই ওঠে না। সঙ্গীত আমার সবকিছু। ওটা সবার আগে। তারপর সময় সুযোগ পেলে অন্য কিছু।’ আজকের সিঙ্গলস-এর যুগে এগারোটা গান নিয়ে সিনেমার মিউজিক্যাল অ্যালবামের বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ কী? অন্বেষার সাবধানী উত্তর, ‘এইরকম একটা উদ্যোগে পা বাড়ানো মানেই রিস্ক। এটা ঠিক রিলস দেখতে দেখতে মানুষের ধৈর্য অনেক কমে গেছে। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, লম্বা গান বা অ্যালবাম শোনার মানুষ কিন্তু এখনও আছেন।’
সাম্প্রতিক সময়ে গানের স্থায়িত্ব কোথায়? অন্বেষার বিশ্লেষণ, ‘এর জন্য দায়ী পুঁজিবাদ। কারণ গান তৈরির সময় প্যাশনের চেয়ে ব্যবসা প্রাধান্য পায়, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি মাসে আমাকে একটা গান করতেই হবে, তখন কিন্তু ডেডলাইনটা বড় হয়ে যায়, ফাইন আর্টসটা নয়। গানের সংখ্যার হিসেব নেই। এখন সবাই সিঙ্গার। ভালো গান পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে। ভালো জিনিস পেতে গেলে মূল্য দিতে হয়।’